• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না রাবির রেজিস্ট্রার ও রাকসুর জিএসের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় দুই প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে আজ দেশে আসছেন হামজা চৌধুরী মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিতে একজন নিহত আজও দেশব্যাপী শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি, বিপাকে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি পদ্মার চরে অভিযান,অস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর ২১ সদস্য আটক আগামী বছরে ঈদ ও পূজার ছুটি কয়দিন, জানালো সরকার ৩৪ টাকায় ধান, ৫০ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ চাল কিনবে সরকার তিন দফা দাবিতে শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি প্রাথমিকের শিক্ষকদের ঝালকাঠি-২ আসনে প্রার্থী নিয়ে জেলা বিএনপির ভেতরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় অবাধে চলছে ইলিশ শিকার

Reporter Name / ৩৫ Time View
Update : শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। শিকারের পর সেই মাছ শরীয়তপুরের গোসাইরহাট নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন মাছের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। জেলায় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশের অভিযান সত্ত্বেও জেলেরা এ অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কোদালপুর ইউনিয়নের মেঘনা শাখা নদীর পাড়ে ছৈয়ালকান্দির বাইদ্যাপাড়ায় ও কুচাইপট্রি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের পাশের খালের পাশে তিনটি স্থানে অস্থায়ী আড়ৎগুলোতে গিয়ে প্রকাশ্যে ইলিশ মাছের ট্রলার আসছে আর মাছ বিক্রির চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ছৈয়াল কান্দির পাশে বাইদ্যাপাড়ায় প্রকাশ্যে মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার লুকিয়ে বিক্রির চেষ্টা দেখা গেলেও বেশিরভাগ অস্থায়ী বাজারে চলছে প্রকাশ্য বেচাকেনা। খালের মধ্যেই নৌকার উপর কেনাবেচা হচ্ছে মাছ। দূরদূরান্ত থেকে পাইকার এসেছেন এসব ইলিশ কেনার জন্য। শুধু পাইকার এসেছেন এমন নয় এসেছেন গ্রামবাসী ও আড়তদাররাও। গ্রামবাসী এক হালি, দুই হালি ইলিশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। পাইকারেরা কিনছেন ঝুড়ি ভরে। তারা মাছ নেয়ার জন্য অটোরিকশা নিয়ে এসেছেন।

সাধারণ ক্রেতারা মাছ কিনে বাড়ি যাওয়ার সময় পাইকার-আড়তদারদের দুটো কথা শুনিয়ে যাচ্ছেন। কারণ পাইকারদের কারণে তারা কম দামে মাছ কিনতে পারছেন না।

গোসাইরহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, ‘অক্টোবরে ২২ দিন মা-ইলিশ ডিম ছাড়তে নদীতে উঠে আসে। ভোলা দেশের অন্যতম মৎস্য প্রজনন অভয়াশ্রম। মেঘনা ও মেঘনা শাখা নদী, জয়ন্তী নদীসহ এ অভয়াশ্রম জলসীমায় জাল ফেলা, ইলিশ মাছ শিকার, বহণ, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। একটি মা ইলিশ নদীতে পাঁচ-ছয় লাখ ডিম ছাড়বে। নিষেধাজ্ঞা মেনে যদি সঠিকভাবে মা ইলিশের ডিম ছাড়ার পরিবেশ তৈরি করা যায় এবং জাটকা সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে দেশের মানুষের ইলিশ মাছের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।’

শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা যায়, কোদালপুর লঞ্চঘাটসহ কুচাইপট্রি খেঁজুরতলা মেঘনা শাখা নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে মাছ শিকার করা হচ্ছে।

একপক্ষ বড় দ্রুতগামী ট্রলার নিয়ে সারা রাত মাছ শিকার করেছে। আরেকপক্ষ ভোরে ছোট নৌকা–জাল নিয়ে মাছ শিকার করতে নেমে পড়েছে।

চাঁদপুর নৌফাঁড়ির ইনচার্জ ইহছানুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন অভিযান করে জেলেদেরসহ জাল ট্রলার ও মাছ জব্দ করি।’

বিশাল এলাকা, সব জায়গায় তো একযোগে অভিযান চালানো সম্ভব নয়, এরপরও তারা যথাসাধ্য অভিযান চালাচ্ছেন। মেঘনা নদীতে যেনো নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা ইলিশ নিধন করা না হয়, তিনি সেই ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম বলেন, তারা দিনরাত মেঘনা, জয়ন্তী ও মেঘনা শাখা নদীতে অভিযান চালাচ্ছেন। একদিকে অভিযান চলছে, আরেকদিকে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরতে নেমে যাচ্ছেন। লোকবল সংকট মেনে নিয়েই তারা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন বলে জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।