রেমিট্যান্স পাঠিয়ে যারা বছরের পর বছর দেশের অর্থনীতির চাকা সচলে অবদান রাখছেন, সেই প্রবাসীদের কথা তেমন কেউ ভাবেনি আগে। স্বাধীনতার পর যত সরকার এসেছে প্রবাসীদের ভোটাধিকার ছিলো কেবল ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ। বারবার দাবি উঠলেও, ভোটার তালিকায় তাদের নাম উঠানোর প্রক্রিয়া চালু হয়নি।
এবার সেই বঞ্চনার অবসান। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানেরর পর অন্তর্বর্তী সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পথ খুলে দিলো। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম।
নির্বাচন কমিশন সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘যাদের এনআইডি কার্ড আছে, তাদের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করছি। অ্যাপটির নাম পোস্টাল ভোট বিডি’
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধনকারীরা দিতে পারবেন ভোট। তবে যারা নতুন ভোটার, তারা রেজিস্ট্রেশন করলেই পাবেন এনআইডি। আর কারো এনআইডি আগেই থাকলে একটি অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে ভোট দেয়া যাবে পোস্টাল ব্যালটে।
নির্বাচন কমিশন সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। আইডির সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন ম্যাচ করলে ভোট দিতে পারবেন।’
যাদের এখনো এনআইডি নেই, তাদের কনস্যুলেটে এসে বায়োমেট্রিক ও তথ্য হালনাগাদের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন সহজ করতে পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন।
প্রবাসীরা জানান, তারা ভোট দিতে পেরে অনেক খুশি। ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি তাদের। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, প্রবাসীদের ভোটদান নিশ্চিত করতে থাকছে পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি অ্যাপ। যাদের এনআইডি আছে, তারা এ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে দেশের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
তবে যারা দেশে গিয়ে সরাসরি ভোট দিতে চান, তাদের এ অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন নেই। এ অ্যাপে বিদেশে ভোট দেয়ার রেজিস্ট্রেশন করলে দেশে নিজ নির্বাচনি এলাকায় ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন না প্রবাসীরা।






















