বহির্বিশ্বের অব্যাহত চাপ ও একের পর এক পশিচমা দেশের ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার মাঝেই, ট্রাম্প প্রস্তাবিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিইইয়ামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার গাজা ইস্যুতে হোয়াইট হাউজে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, তার পরিকল্পনায় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। তার প্রত্যশা, হামাসও যুদ্ধ বন্ধে তার প্রস্তাবে রাজি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। একসঙ্গে কাজ করলে দশকের পর দশক ধরে চলা মৃত্য ও ধ্বংসলীলা শেষ করতে পারব। পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির নতুন অধ্যায় শুরু হবে। তবে হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে, আমি নেতানিয়াহুকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবো, যা গাজার পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলবে। আর এর জন্য হামাস দায়ী থাকবে।’
এর আগে, ২০ দফার বিস্তারিত প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। এটি অনুযায়ী, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চুক্তি কার্যকরের ৭২ ঘন্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে সব ইসরাইলি জিম্মিকে।
এছাড়া হামাসের কাছে থাকা সব অস্ত্র ধ্বংস করতে হবে। গাজাজুড়ে চলমান স্থল, বিমান ও বোমাবর্ষণ বন্ধ করবে ইসরাইলি বাহিনী। মুক্তি পাবে তাদের কাছে বন্দি হামাস সদস্যরাও। এদিকে হোয়াইট হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুও।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধে আপনার পরিকল্পনার সমর্থন জানাচ্ছি। এতে ইসরাইলি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং হামাসের সামরিক ক্ষমতা ভেঙ্গে যাবে। এটি বাস্তবায়িত হলে গাজা আর ইসরাইলের জন্য হুমকির কারণ হবে না। তবে হামাস প্রস্তাবনায় রাজি না হলে, আমরা আমাদের মিশন শেষ করব।’
তবে এখনো ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি হামাস। আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের মধ্যস্ততাকারী পক্ষগুলো বিবেচনা করবে ট্রাম্পের পরিকল্পনা।
এদিন হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সম্প্রতি কাতারের দোহায় হামলা চালানোয় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফোন করে ক্ষমা চান নেতানিয়াহু। এদিকে গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমা ও আরবের বিভিন্ন দেশ।






















