• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না মহিলাদলের প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ খড়খড়ি বাইপাস দৈনন্দিন বাজার কমিটির তালিকা প্রকাশ মিটফোর্ডে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা আবারও সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অংশ নিচ্ছে ৩০টি রাজনৈতিক দল ৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার সংসদ: নাহিদ ইসলাম ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যাশা বিএনপির, ফখরুল আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা ১৬ জুলাই আবু সাঈদ ও ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘোষণা কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২০ রান দেশে ফিরছেন তেহরানে থাকা ২৮ বাংলাদেশি

ভয়-ভীতি দেখানো ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Reporter Name / ৫৮ Time View
Update : রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

প্রিয়জন ডেস্কঃ রাজশাহী মহানগরীর ড্যাস কালেকশনের মালিকানা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো, প্রকৃত মালিককে ভয়-ভীতি দেখানো ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ড্যাস কালেকশনের মালিক সুফিয়া বেগম পলি ।

রবিবার (২২ জুন) বিকাল ৪ টায় ড্যাস কালেকশন শো-রুমের সামনে গ্যাস কালেকশনের প্রকৃত মালিকপক্ষের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুফিয়া বেগম পলির পক্ষ থেকে তার বড় মেয়ে এহিদিন নেসা।

সংবাদ সম্মেলনে সুফিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী মোঃ আলমগীর ড্যাস কালেকশন গার্মেন্টস রকমারী বস্ত্র প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। ব্যাবসায়িক কারনে আমার স্বামী, মোছাঃ সাবিনা পারভীনের স্বামী মোঃ আমিরুল ইসলাম এবং আমিরুল ইসলামের পিতা: কামাল উভয়ের সাং- ৩১৭ কাদিরগঞ্জ, থানা: বোয়ালিয়া, জেলা: রাজশাহীর নিকট হতে ২,০০,০০০০০/- (দুই কোটি) টাকা ঋণ গ্রহণ করে এবং ১,০০,০০০০০/- (এক কোটি) টাকা পরিশোধ করি এবং ১ কোটি টাকা পাওনা থাকে। কিন্তু আমার স্বামী প্রতিষ্ঠান চালাতে না পারলে ব্যাংক ঋণ বৃদ্ধির কারণে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা হয় এবং পারভীনকে দিয়ে আমিরুল ইসলাম আমার স্বামীর নামে আদালতে মামলা করেন।
তিনি আরোও অভিযোগ করেন, আমিরুল ইসলাম ওরোফে মামুন আমাকে ও আমার স্বামীকে হুমকি দিয়ে জানায় যে, সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ম্যাসেঞ্জার পোষ্টে চাকুরী করে। তার কথামত না চললে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে মিথ্যা হয়রানী মুলক মামলা দিয়ে ফাসানোর ব্যবস্থা করবে। এছাড়া ৫ আগস্টের আগে তার বন্ধু রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনির প্রভাব খাটিয়ে আমাদের পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্ঠা করে।

সুফিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী জেলে থাকায় আমি দুই কন্যা ও এক নাবালক পুত্রকে নিয়ে ভীত এবং অসহায়। আমিরুল ইসলাম প্রতারণার আশ্রয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমাকে ও আমার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে ভয়ভীতির মাধ্যমে উকিল ঠিক করে আমাদেরকে না বুঝতে দিয়ে সোলেনামায় সহি করিয়ে সোলেনামা করে এবং অঙ্গীকারের আপোষনামার নোটারী করে এবং আমার দোকান পরিচালনা শুরু করে।

তিনি আরোও বলেন, ব্যবসায় আমিরুল ইসলাম আমার দোকানের জিনিসপত্র বিক্রি করে, এবং বিক্রয়লব্ধ টাকা গ্রহণ করিলেও ব্যাংক ঋণ পরিশোধসহ চুক্তি মোতাবেক কোন কাজ বা শর্ত পালন করেন নাই। আমিরুল ইসলাম প্রতারণা করে দক্ষিণ নওদাপাড়ার বাড়ি ব্যাংক বন্ধক থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে পারভীনের নিকট হতে আমিরুল ইসলাম নিজ নামে রেজিষ্ট্রি গ্রহণ করেন এবং মোঃ আমিরুল ইসলামের নামে খারিজ করেন। এ ব্যাপারে ব্যাংক খারিজ বাতিলের দরখাস্ত প্রদান করেন।
আমি এ বিষয়ে চুক্তি পালনের কথা বললে আমিরুল ইসলাম আমাকে আর্মি দিয়ে হয়রানী করার হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এমতাবস্থায় বিষয়টি তদন্ত পূর্বক মোঃ আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গত ২০/০৬/২৫ তারিখে ড্যাস কালেকশন গার্মেন্টস রকমারী বস্ত্র প্রতিষ্ঠান আমি নিজের অধীনে ফেরত পাই। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠান মোছাঃ সাবিনা পারভীন এর স্বামী মোঃ আমিরুল ইসলামকে বুঝিয়ে দেও্য়াড় সময় আমার এই প্রতিষ্ঠানের ১০ কোটি ১০ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল এবং তার প্রমাণ ও আমাদের কাছে আছে। কিন্তু আমি বুঝে পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি টাকার কম মাল পায়। এবং বাকি ৮ কোটি টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমাকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে।
এ অবস্থায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক সম্পদ ফেরত এবং আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে আমিরুল ইসলাম মামুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

2 responses to “ভয়-ভীতি দেখানো ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।