• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে চায় বিএনপি; সরকারের অনুরোধে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাবে কাতার রাজশাহীতে কাপড়ের দোকানে আগুন, ১৫-২০ লাখ টাকার ক্ষতি

জাতীয় স্বার্থে যেকোনো সংস্কারে একমত জামায়াতে ইসলামী

Reporter Name / ১৫৮ Time View
Update : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক

প্রিয়জন ডেস্কঃ জাতীয় স্বার্থে যেকোনো সংস্কারে জামায়াতে ইসলামী একমত বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

আজ (শনিবার, ২৬ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানান, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জামায়াতের অবদান জাতির স্মরণে থাকবে।

সহস্রাধিক তাজা প্রাণ আর অগণিত ছাত্র-জনতার ত্যাগে দীর্ঘ আওয়ামী লীগের অবসানের মধ্যে দিয়ে জনসাধারণের মাঝে তৈরি হয় বৃহৎ রাষ্ট্র সংস্কার ভাবনা। ফলে গঠন করা হয় সংস্কার কমিশন যা বর্তমানে কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নামে।

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক ছাদের নিচে এনে রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগ কমিশনগুলো নিয়েছিল সেগুলো বাস্তবায়নে সবার সঙ্গে ঐকমত্য পৌঁছাতে মার্চ থেকেই আলোচনা শুরু করেছে কমিশন। সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠকে বসে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল।

বৈঠক পূর্ব সূচনা বক্তব্যে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, জাতীয় স্বার্থে সকল সংস্কারে ঐকমত্য পোষণ করবে তার দল।

নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘যেখানে যেখানে আমাদের নতুন কিছু সংযোজনের প্রয়োজন আছে, কিছু বিয়োজনের প্রয়োজন আছে, কল্যাণের জন্য যেটা প্রয়োজন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই কাজে, সেই পরিবর্তনে, সেই সংস্কারে পরিপূর্ণভাবে ঐকমত্য পোষণ করে।’

এসময় তিনি আরও জানান, স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে জামায়াত।

নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘কিছু বিয়োজনের প্রয়োজন আছে এবং যেটা দেশের জন্য কল্যাণকর, জাতির জন্য কল্যাণকর, আমরা দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দলীয় স্বার্থ এবং ব্যক্তি স্বার্থকে আমরা কখনোই প্রাধান্য দিতে চাই না। আমরা প্রাধান্য দিবো না।’

অন্যদিকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জামায়াতের অবদান জাতির স্মরণে থাকবে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। জানান, জাতীয় সনদের দিকে অগ্রসর হওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য।

অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চাই। এটাও স্মরণ করা দরকার যে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমরা আছি। আমাদের এই সুযোগ যারা তৈরি করে দিয়েছেন যে বীর শহীদরা, তাদের কাছে আমাদের একটা ঋণ আছে। যেন এই সুযোগ কোনো অবস্থাতেই হাতছাড়া না হয়ে যায়। যেন এই সুযোগকে কেন্দ্র করে আমরা এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি যেখানে কোনো অবস্থাতেই কাউকে নিপীড়নের মুখে পড়তে না হয়। বিচার বা বিচার বহির্ভূত ব্যবস্থার মধ্যে যেন মুকাবিলা করতে না হয়।’

সব রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অতি দ্রুতই জুলাই সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে জামায়াত ইসলামী ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।