• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না রাবির রেজিস্ট্রার ও রাকসুর জিএসের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় দুই প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে আজ দেশে আসছেন হামজা চৌধুরী মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিতে একজন নিহত আজও দেশব্যাপী শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি, বিপাকে শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি পদ্মার চরে অভিযান,অস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর ২১ সদস্য আটক আগামী বছরে ঈদ ও পূজার ছুটি কয়দিন, জানালো সরকার ৩৪ টাকায় ধান, ৫০ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ চাল কিনবে সরকার তিন দফা দাবিতে শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি প্রাথমিকের শিক্ষকদের ঝালকাঠি-২ আসনে প্রার্থী নিয়ে জেলা বিএনপির ভেতরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে

দুঃসংবাদ আবহাওয়া নিয়ে

Reporter Name / ১৮০ Time View
Update : সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫

দেশে টানা কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহের পর গত শনিবার থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে দেশ।

সোমবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কানাডার সাস্‌কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সোমবার থেকে বুধবার (৬-৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ অবস্থার উন্নতি হতে পারে। তবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রোববার (৯-১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত আবারও কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

এ সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একটি পশ্চিমা লঘুচাপের ঊর্ধ্বমুখী অংশ মধ্য ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর ওপরে অবস্থান করছে যার প্রভাবে মধ্য থেকে ঊর্ধ্ব আকাশের মধ্য দিয়ে জলীয়বাষ্পযুক্ত গরম বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এই পশ্চিমা লঘুচাপ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে ২ থেকে ৩ দিন লেগে যেতে পারে।

পোস্টে তিনি বলেন, এ অবস্থায় সোমবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে। জ্বলীয়বাষ্পযুক্ত গরম বাতাস ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি স্থানের কাছে থাকার কারণে রংপুর, ময়মনিসংহ ও সিলেট বিভাগের মেঘালয় পর্বতের কাছাকাছি জেলাগুলোর উপরে গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারি।

মোস্তফা কামাল পলাশ আরও বলেন, তবে বুধবার (০৮ জানুয়ারি) পর থেকে পশ্চিমা লঘুচাপটি নিম্নমুখী অংশ ভারতের হিমালয় পর্বতের কাশ্মীর এলাকা থেকে ঠান্ডা বাতাস বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে।

যার ফলে বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) থেকে আবারও দেশের ওপর দিয়ে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। এ অবস্থায় আগামী ৩ থেকে ৫ দিন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অতিক্রম করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।