• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: আপিলের রায়ে তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস সংসদকে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার প্রস্তাব জাতীয় পার্টির ‘বৈষম্যের কারণে আমরা একদেশে দুই ধরনের সমাজ তৈরি করছি’ অস্ত্রের জন্য দ. কোরিয়ায় ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা: ফারুক সহিংসতায় বন্ধ হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, লেখাপড়া শুরু হবে কবে? জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া পাচ্ছেন অর্ধেক সম্পদ, রাহমানকে বিশ্বের সেরা পুরুষ দাবি! সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুলের শিক্ষার্থীদের মোল্লা কলেজে হামলা, আহত ২০ একনেকের প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার ৫ প্রকল্প অনুমোদন

‘বৈষম্যের কারণে আমরা একদেশে দুই ধরনের সমাজ তৈরি করছি’

Reporter Name / ৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশে ন্যায়ভিতিতক সমাজ বিনির্মাণ শিরোনামে বুদ্ধিজীবী ও অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক রেহমান সোবহান চারটি মোটা দাগে দেশের বৈষম্য তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে- বাজার বৈষম্য; অসম সমাজ; রাজনৈতিক বৈষম্য; রাষ্ট্রীয় বৈষম্য। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ‘ষষ্ঠ নেহরীন খান স্মৃতি বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা প্রয়াত ডক্টর আকবর আলী খানের মেয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্রী প্রয়াত নেহরীন খানের স্মরণে এই বক্তৃতাটির আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, দেশের উৎপাদকরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। তারা পরিশ্রম করেও ভাগ্য বদল করতে পারছেন না। অথচ মধ্যস্বত্বভোগী কিছু মানুষ পুজির দাপটে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এখান থেকে ব্যাপক মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। এখানে বাজার ব্যবস্থায় তথ্য, সম্পদ, ঋণ এসব ক্ষেত্রেও প্রচুর বৈষম্য রয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যাপক বৈষম্য আমাদের একদেশে দুইটা পৃথক সমাজ তৈরি করে ফেলছে। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা গুণগত ভালো মানের শিক্ষা-চিকিৎসা পাচ্ছেন, অন্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি সংসদ সদস্যদের উদাহরণ দিয়ে বলেন রাজনীতিতে শুধুমাত্র পয়সাওয়ালারা অংশ নিতে পারছে। সেখানে দুই তৃতীয়াংশ ব্যবসায়ী এবং পরে বাকিরাও ব্যবসায়ী হয়ে যান। ক্ষমতা তাদের ব্যবসা প্রসারে সহায়তা করে। রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশ ব্যবসায়ী, আমলা, সামরিক বাহিনীর সদস্য এমন কিছু গ্রুপকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। সেজন্য রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধাগুলো গরিব মানুষের কাছে পৌঁছতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, দারিদ্রকে জাদুঘরে পাঠানোর স্বপ্ন দেখা অধ্যাপক ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্য দূর করতে বিভিন্ন সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্যদূর করতে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে বলেন। দেশের নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং নারীদের জন্য সমান সুযোগ তৈরির পরামর্শ দেন। ভূমিহীনদের হাতে খাস জমি তুলে দিলে দেশে উৎপাদন বাড়বে, শ্রমিকদের শিল্প কারখানায় মালিকানার অংশ দিলে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অসন্তোষ দূর হবে

সবশেষে, তিনি জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে এবং স্বাস্থ্য খাতের জন্য সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বে সার্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা করার পরামর্শ দেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন; ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, অধ্যাপক ড. শামস রহমান; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের (অব.) অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম; ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ, এয়ার কমডোর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রয়াত নেহরীন খানের স্বজনগণ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর