ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা ও ভাঙচুর করেছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গতকাল ‘সুপার সানডে’তে সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং কবি নজরুল কলেজে মোল্লা কলেজ শিক্ষার্থীদের হামলার জেরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইতোমধ্যে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকে। পরে সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হয়ে সাত কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জড়ো হতে থাকে।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজ ক্যাম্পাসে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ‘মেগা মানডে’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। সেই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকাল থেকে ধীরে ধীরে কবি নজরুল সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।
পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী ওই কলেজে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় রাস্তার বিপরীত পাশে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল ডিএমআরসির নেতৃত্বে ঢাকার বেশ কয়েকটি কলেজ একত্রিত হয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার জন্য মাইকিং করে বলেন, ‘তোমরা শান্ত হও, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি। গতকালকের ঘটনায় অনুপ্রবেশকারীরা ছিল, আজও এখানে অনুপ্রবেশকারী আছে বলে মনে হচ্ছে। গতকাল সন্ত্রাসীরা কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’