• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত-বিএনপি আজ বিশ্বে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ ঢাকায় ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি

সরকার লোডশেডিংয়ের জন্য পুরোপুরি দায়ী: সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকু

Reporter Name / ১৩৪ Time View
Update : সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২

সরকার লোডশেডিংয়ের জন্য পুরোপুরিভাবে দায়ী। এছাড়া দেশ আজ সত্যিকার অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। টুকু বলেন, সরকার অপরিকল্পিতভাবে জনগণের অর্থ ব্যয় করেছে। জনগণের অর্থ ব্যয় করার জন্য সরকার কিছু ব্যক্তির ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। এসব ব্যক্তি লাঠি-কলমের শক্তি দিয়ে সরকারকে টিকিয়ে রেখেছেন ও সরকার তাদের পেট মোটা করছে।

সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ বিষয়ে যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টুকু বলেন, রিজার্ভে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় বিদেশ থেকে তেল-গ্যাস আমদানি করা যাচ্ছে না, লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) করা যাচ্ছে না। এসব কারণে বিদ্যুতের ব্যবহারের ওপর চাপ দেওয়া হয়েছে, যাতে কম খরচ হয় ও কম আমদানি করতে হয়।

‘সরকার এতদিন ঢোল পিটিয়েছে যে, আমাদের রিজার্ভ বিশাল, আমাদের এই আছে-সেই আছে, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে গিয়েছি আমরা। এখন সেই রিজার্ভ গেল কোথায়? হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল কেন? ৪৩ বিলিয়ন থেকে ৩৮ বিলিয়নে নামলো কেন? এটা তো সরকারি হিসাব, রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন আছে কি না তা নিয়েও আমাদের সন্দেহ রয়েছে।’

তিনি বলেন, এ সরকার আসার আগে আমাদের প্রতিষ্ঠিত যে পাওয়ারপ্লান্ট ছিল সেগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৬৪ শতাংশ সরকারের হাতে ছিল। বর্তমান সরকার তড়িঘড়ি করে আমাদের ভালো ভলো পরিকল্পনা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে দিয়েছে। সংসদে নতুন আইন পাস করিয়ে যাকে ইচ্ছা তাকে পাওয়ারপ্লান্ট দেওয়া হয়েছে।

টুকু বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যেভাবে নাচ-গান-ফুর্তি করা হলো, তেমনি শতভাগ বিদ্যুতের দেশ বলেও হাতিরঝিলে ফানুস ওড়াতে দেখেছি, নাচতে দেখেছি। অথচ আজ সরকার বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। যেটা করার দরকার ছিল সেটা সরকার করেনি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের কর্তৃত্ব সরকারের হাতে রাখা দরকার ছিল।

‘সরকার উৎপাদন করলে আজ এ ক্যাপাসিটিতে পেমেন্ট করতে হতো না। সরকার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে, কিন্তু এখন বিদ্যুৎ দিতে পারছেন না। বিদ্যুতের বদলে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এ টাকা কার? জনগণের টাকা। আসলে বিষয়টি এমন দাঁড়ালো যে, অন্ধকারেও থাকলাম আবার টাকাও দিলাম। দেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা অতীতে ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, এ সরকারের লোক দেখানো প্রচারের জন্য আমরা দুর্ভোগে পড়েছি। সরকারের কোষাগার থেকে টাকা যাবে পাওয়ার স্টেশন মালিকদের কাছে। শতভাগ লাভ হবে তাদের আর জনগণের হবে শতভাগ ক্ষতি। সরকারের এ ধরনের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের জের আমাদের অনেকদিন টানতে হবে।

বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, লোডশেডিংকে সরকারের ব্যর্থতা বলবো না, এটা প্রকৃতপক্ষে বড় ধরনের কুটচাল।

তিনি আরও বলেন, যখনই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তখনই আমরা আন্দোলন করেছি। এখন পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে দেশের মানুষ প্রতিবাদ জানাবেই। এ প্রতিবাদ খুব কঠোর হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও শায়রুল কবির খান।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।