বাজেটের আগেই বেড়ে গেলো সিগারেটের দাম

বাজেটের আগেই বেড়ে গেলো সিগারেটের দাম

আসন্ন প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনার আগেই বেড়ে গেছে সব ধরনের সিগারেটের দাম। ফলে ধূমপায়ীদের এখন থেকেই সিগারেট কিনতে বেশি খরচ করতে হবে। প্রতি শলাকা বেনসন সিগারেট এক টাকা বেড়ে ১৬, আর গোল্ডলিফ এক টাকা বেড়ে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শনিবার (২১ মে) নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। সব ধরনের সিগারেটে ১-২ টাকা বেড়েছে। আগে যে মার্লবোরো সিগারেট প্রতি পিস ১৫ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা বেড়ে ১৬-১৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রয়েল, ডার্বি, হলিউড ও লাকি স্ট্রাইকের প্রতি শলাকা বিক্রি হচ্ছে এক টাকা বেড়ে ছয় টাকায়।

খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদা মতো সিগারেট মিলছে না। ডেলিভারি দেওয়া বন্ধ রয়েছে সিগারেট। মিরপুর-৬০ ফিটে বারেক মোল্লা মোড়ে সিগারেট বিক্রি করেন রবিউল ইসলাম রুবেল। তিনি বলেন, সিগারেটের সংকট চলছে। হঠাৎ করেই কমে গেছে সরবরাহ। আমার দোকানে প্রতিদিন চার হাজার টাকার সিগারেট বিক্রি হয়। অথচ আমাকে মাত্র দেড় হাজার টাকার সিগারেট দিয়েছে তাও আবার বাড়তি দামে।এদিকে বাজেটের আগে সিগারেটের দাম বাড়াতে ক্ষুব্ধ ধূমপায়ীরা। সিগারেটের এক ভোক্তা আতাউর রহমান বলেন, বাজেটের পর সিগারেটের দাম বাড়বেই, এটা সবার জানা। এজন্য ইচ্ছা করেই সংকট তৈরি করা হচ্ছে। সয়াবিনের মতো সিগারেটেও সিন্ডিকেটের শিকার।

তবে সিগারেট সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর দাবি, তারা নিয়মিত সিগারেট সরবরাহ করছেন। বাজেটের পর বাড়তি দাম পাওয়া যাবে এই আশায় সিগারেট লুকিয়ে রাখছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারাই বাজারে তৈরি করছেন কৃত্রিম সংকট। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয় লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা তৈরি হয়েছে। নতুন এই বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আগামী ৯ জুন (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।