• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না মহিলাদলের প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ খড়খড়ি বাইপাস দৈনন্দিন বাজার কমিটির তালিকা প্রকাশ মিটফোর্ডে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা আবারও সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অংশ নিচ্ছে ৩০টি রাজনৈতিক দল ৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার সংসদ: নাহিদ ইসলাম ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যাশা বিএনপির, ফখরুল আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা ১৬ জুলাই আবু সাঈদ ও ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘোষণা কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২০ রান দেশে ফিরছেন তেহরানে থাকা ২৮ বাংলাদেশি

মহামারী আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু, মারা যাওয়া ৫৭ শতাংশই নারী

Reporter Name / ১১৭ Time View
Update : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩

মহামারী আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। প্রতিদিনই ঘটছে মৃত্যু। তথ্য বিশ্লেষণে পুরুষরা আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যুতে নারীর হার বেশি। দেখা গেছে, চলতি বছরের মোট মৃত্যুর ৫৭ শতাংশই নারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুষ্টিহীনতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণেই নারীর মৃত্যু হার বেশি।

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শেষ ২৪ ঘণ্টার তথ্যমতে, ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছে ১৬ জন, যার মধ্যে ৯ জনই ছিলেন নারী। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম নাজিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পাবলিক অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক কান্তা বিশ্বাস ও মেডিকেল ছাত্রী সৈয়দা সাদিয়া ইয়াসমিন রাইসাও রয়েছেন। নাজিয়া ও কান্তা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪১৮ জন। এটি ২৩ বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হওয়া রোগী। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ১৬২ জন। বাকি ১ হাজার ২৫৬ জন ঢাকার বাইরের। সর্বশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৪ জন ও ঢাকার বাইরের ২ জন।

জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৭ হাজার ৬৮৮ জন। এর মধ্যে মারা যান ২০১ জন। এই জুলাইয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫৪ জন। আক্রান্তের মধ্যে ৬৪ শতাংশ পুরুষ। নারী ৩৬ শতাংশ। মারা যাওয়া রোগীর ১১৪ জন নারী, ৮৭ জন পুরুষ। নারীর মৃত্যু বেশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। অন্তঃসত্ত্বা নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এ ছাড়া আমার মনে হয়, নারীরা দেরিতে হাসপাতালে আসছে। ডেঙ্গু শনাক্তেও দেরি হচ্ছে।

খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. খালেদা ইসলাম বলেন, পুষ্টির বিষয়ে নারীরা বেশ উদাসীন। এ ছাড়া রোগ হলেও চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না তারা।

বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর শয্যা
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে নিয়ে এক বৈঠক শেষে সব সরকারি হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর জন্য ১০০ থেকে ২০০ শয্যা বাড়াতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।