• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না মহিলাদলের প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ খড়খড়ি বাইপাস দৈনন্দিন বাজার কমিটির তালিকা প্রকাশ মিটফোর্ডে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা আবারও সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অংশ নিচ্ছে ৩০টি রাজনৈতিক দল ৫ আগস্ট আমাদের লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার সংসদ: নাহিদ ইসলাম ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যাশা বিএনপির, ফখরুল আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা ১৬ জুলাই আবু সাঈদ ও ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘোষণা কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২০ রান দেশে ফিরছেন তেহরানে থাকা ২৮ বাংলাদেশি

আগামী অর্থবছরের বাজেটে আরও কী কী থাকতে পারে

Reporter Name / ৭৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শীর্ষক বাজেট বক্তব্য দেবেন অর্থমন্ত্রী। এতে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ করার কথা তুলে ধরবেন তিনি।
এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আর মূল্যস্ফীতির বার্ষিক হারের লক্ষ্য থাকছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

আজ বেলা তিনটায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বাজেট পেশ করবেন।

এবারের বাজেটের অন্যতম আলোচিত বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ। গত বছর বাংলাদেশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করলে এ বছরের শুরুর দিকে তারা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। কিন্তু আইএমএফ সাড়ে তিন বছরের জন্য মোট ৩৮টি শর্ত দিয়েছে, যার অর্ধেকের কম আগামী অর্থবছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এর মধ্যে আছে সুদহারের ক্ষেত্রে করিডর পদ্ধতি তৈরি, রিজার্ভের যথাযথ গণনা পদ্ধতি প্রণয়ন, মুদ্রা বিনিময় হারের একক দর রাখাসহ কয়েকটি শর্ত পূরণের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর কিছু বাস্তবায়নের ঘোষণা আসবে আগামী জুন মাসে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময়, কিছু আসবে জুলাই মাসে। আইএমএফের চাওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক, আগামী অর্থবছরের বাজেটে আরও কী কী থাকতে পারে:

করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি

২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বাড়তে পারে। বর্তমানে বার্ষিক আয়ের প্রথম তিন লাখ টাকা পর্যন্ত কর দিতে হয় না। এটি বাড়িয়ে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এতে মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে। মানুষকে স্বস্তি দিতে তাই এবার করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বাড়ানো হতে পারে।

প্লট, ফ্ল্যাট, গাড়িতে খরচ বৃদ্ধি

ফ্ল্যাট-প্লট নিবন্ধন করার সময় ক্রেতাকে নানা ধরনের কর দিতে হয়। যেমন গেইন ট্যাক্স, ভ্যাট, স্ট্যাম্প মাশুল, নিবন্ধন মাশুল, স্থানীয় সরকার কর। ১০ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ কর দিতে হয়। এই করহার বাড়ানো হতে পারে। সব মিলিয়ে কর ভার হতে পারে ১৫ শতাংশ। যেমন এক কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনলে আড়াই থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ বাড়তে পারে।

গাড়িওয়ালাদের জন্য আগামী বাজেট দুঃসংবাদ বয়ে আনতে পারে। কেউ যদি দ্বিতীয় গাড়ি কেনেন, তাহলে কার্বন করের মতো বাড়তি কর দিতে হতে পারে। গাড়ির সিসিভেদে বাড়তি করের পরিমাণ হতে পারে ২০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা। গাড়ির ফিটনেস সনদ নেওয়ার সময় এই কর দিতে হয়।

২০০১ থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ২০০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫০ শতাংশ এবং ৩০০১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত ৩৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ শতাংশ করা হতে পারে। এই স্তরে সাধারণত জিপ ও এসইউভি গাড়ি আমদানি হয়।

ভ্রমণ কর বৃদ্ধি
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে জল, স্থল ও আকাশ—তিন পথেই ভ্রমণ কর বৃদ্ধির প্রস্তাব দিচ্ছে সরকার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ হারে বাড়বে ভ্রমণ কর। প্রস্তাব অনুমোদিত হলে মানুষের ভ্রমণব্যয় বাড়বে।

সর্বজনীন পেনশনের ঘোষণা
বর্তমান মেয়াদের শেষ বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পরীক্ষামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালুর ঘোষণা দেবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী, বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিজীবী, শ্রমিকশ্রেণি, অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যক্তি, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিভুক্ত জনগোষ্ঠী ও শিক্ষার্থী—তাঁদের জন্য আলাদা ছয় ধরনের কর্মসূচি করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ বিভাগ। অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, কাজটি অনেক জটিল। ২০২৮ সালের আগে সর্বজনীন পেনশন বাধ্যতামূলকভাবে শুরু করার বাস্তবতা নেই। তার আগপর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি ঐচ্ছিকভাবে চলবে। আগামী অর্থবছরে এ জন্য বরাদ্দও থাকছে না।

সামাজিক ভাতা বৃদ্ধি

সামাজিক সুরক্ষা খাতে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ কিছুটা বাড়ছে। সঙ্গে কিছু কিছু কর্মসূচির ভাতাও বাড়ছে। কোথাও বাড়ছে জনপ্রতি ৫০ টাকা, কোথাও-বা ১০০ টাকা। এটুকু ভাতা সরকার বাড়াচ্ছে আবার সাত বছর পর। ভাতা কিছুটা বৃদ্ধির পাশাপাশি উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ হতে পারে ১ লাখ ২৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরেও নগদ সহায়তা বা ভাতার জন্য থাকছে আটটি কর্মসূচি। এই খাতে বরাদ্দ ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে।
কর্মসূচি আটটি হলো বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা; হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ভাতা; মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতা এবং সরকারি কর্মচারীদের অবসর ভাতা।
খাদ্যনিরাপত্তায় বরাদ্দ বাড়বে
খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় টিআর, জিআর, ভিডব্লিউবি, ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, ভিজিএফ ইত্যাদি ১১টি শ্রেণিতে ১৫ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে চলতি অর্থবছরে। আগামী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ দুই হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে চাল ও আটা বিক্রি করে। আবার কাজের সুযোগ তৈরি করতে গ্রামে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়।
বাজেটে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা বাড়তে পারে। বর্তমানে এ খাতে বরাদ্দ ৪ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। তবে শিক্ষাবৃত্তির হার বাড়বে না।

দাম বাড়তে পারে, কমতে পারে

দেশীয় কোম্পানির মুঠোফোন উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। যেসব প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ নিজেরাই বানাবে এবং মুঠোফোন উৎপাদন করবে, সেসব কোম্পানির ওপর ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট বসতে পারে। কমপক্ষে দুটি যন্ত্রাংশ নিজেরা বানিয়ে মুঠোফোন বানালে বিদ্যমান ভ্যাট ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ এবং যারা সব যন্ত্রাংশ আমদানি করে শুধু দেশে সংযোজন করে, সেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট বসতে পারে। এখন ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বসে। ফলে স্থানীয় বাজারে স্মার্টফোনের দাম বাড়তে পারে।

অন্যদিকে কিছু পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসিয়ে এবং ভ্যাট বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। যেমন কলমের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। এ ছাড়া টিস্যু, ন্যাপকিন, প্লাস্টিকের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যারসহ গৃহস্থালির পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হতে পারে। আমদানি করা ফ্যানে সম্পূরক শুল্কহার বাড়তে পারে।

এ ছাড়া সব ধরনের সিগারেটের মূল্যস্তর ও শুল্ক—দুটি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতে পারে। অন্যদিকে যেসব সিগারেট কোম্পানি টার্নওভার কর দেয়, তাদের করহার ১ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হতে পারে।

স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় বাইসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে ১৫ শতাংশ বসতে পারে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে সফটওয়্যার আমদানি করলেও ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হতে পারে। এর ফলে স্থানীয় বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

একইভাবে ফ্রিজ-রেফ্রিজারেটর আমদানি করা হলে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। আবার স্থানীয় ফ্রিজ-রেফ্রিজারেটর উৎপাদকদের ভ্যাট ছাড়ের সুবিধা অব্যাহত থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।