• ঢাকা, বাংলাদেশ বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না নির্বাচনি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্য আশরাফুলের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে যা বলছেন সাবেকরা চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪ নেতাকে বিএনপির বহিষ্কার ইসলামি দলগুলোর এক বাক্সে ভোট হবে-ডা. তাহের ছাব্বিশের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত যৌথ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াতসহ ৮ দল খুলনায় বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় নিহত ১, আহত ২ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতীয় নারীদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় জেলহত্যা দিবস আজ চার বিশ্ববিদ্যায়ে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক-নুরুল হক নুর

প্রাণহানি ছাড়ালো ২৯ হাজার, ধ্বংসস্তূপে এখনও মিলছে লাশ

Reporter Name / ১১৮ Time View
Update : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ছয় দিনের মাথায় এসেও ধ্বংসস্তূপে মিলছে লাশ। কখনও আবারও প্রাণের সন্ধান। তবে সময় যত বাড়ছে জীবিত থাকার সম্ভবনা কমে আসছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় জানান, দুই দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৯ হাজার।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাণহানির মধ্যে শুধু তুরস্কে মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। আর প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ৪ হাজার ৫০০ জন।

সিরিয়ার বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী দল হোয়াইট হেলমটেস জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় মারা গেছেন ২ হাজার ১৬৭ জন। প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে।

বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা এবং উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবীদের। ইতালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লেবানন হয়ে সহায়তা পাঠাবে।

কনকনে ঠাণ্ডা আর তুষারপাতের কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ায় উদ্ধার তৎপরতায় বেগ পেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধ্বংসস্তূপে আটকেপড়া মানুষেরা অনেক সময় এক সপ্তাহ বা বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারেন। কিন্তু জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা দ্রুত কমছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবনের স্পন্দন পেতে থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার শুরু করেছেন। যা কেউ জীবিত থাকলে তাদের দুর্বল অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সূত্র: সিএনএন


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।