• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি- সিইসি ১৭ ঘণ্টাতেও উদ্ধার হয়নি শিশুটি, চলছে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ আজ সন্ধ্যা ৬টায় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম প্রথম ধাপে ১২৫ জনের নাম ঘোষণা করলো এনসিপি রাষ্ট্রের ভয়ে কোনো বাংলাদেশিকে বাঁচতে হবে না-মানবাধিকার দিবসে তারেক রহমান তফসিল ঘোষণার পর থাকবে না ব্যানার-ফেস্টু, করা যাবে না মিছিল-মিটিং ইশতেহার তৈরিতে অনলাইনে জনতার মতামত নেবে জামায়াত গাজীপুরে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ দুর্নীতি দমনে বিএনপির ৭ দফা পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন তারেক রহমান

রাজশাহীতে খেলনা বিক্রেতা দুই শিশুকে অপহরণ, গ্রেফতার ৪ অপহরণকারী

Reporter Name / ১৩০ Time View
Update : রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২

মুক্তিপণের দাবিতে রাজশাহীতে খেলনা বিক্রেতা দুই শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অপহরণের পর রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অপহরণ কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালায়।

গ্রেফতার চারজন হলেন- নগরীর শাহমখদুম থানার খিরশিন টিকর এলাকার রাজু ইসলাম (২৬), একই এলাকার মো. শাকিল (২৩) ও মজিবুল ইসলাম (২৬) এবং খিরশিন ফকিরপাড়া গ্রামের মোখলেসুর রহমান (২৬)।

অপহরণ কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেলও জব্দ করেছে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত আরও কয়েকজন আসামি আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন আরএমপির শাহমখদুম থানার ওসি মেহেদী হাসান।

শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, ১২ ও ১৩ বছরের দুই শিশু রাজশাহী নগরীতে হওয়া একটি ওরসের মেলায় খেলনা বিক্রি করতে এসেছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর তানোর থেকে। তারা পরস্পর বন্ধু ও অংশীদার।

এদিকে মেলা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা ভটভটিতে করে নিজেদের মালামাল নিয়ে বাড়ির পথে যাচ্ছিল। ওই সময় শাহমখদুম থানার সিটিহাট এলাকা থেকে তাদেরকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। অজ্ঞাত স্থান থেকে শিশুদের ফোন থেকে তাদের মহাজন মনিরুল ইসলামকে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মহাজন মনিরুল ইসলাম বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শাহ মখদুম থানায় অভিযোগ করেন।

এদিকে দুই শিশু অপহরণের অভিযোগ পেয়ে শিশুদের উদ্ধারে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করেন। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান করা হয়। গভীর রাতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজশাহীর পবা উপজেলার ভালাম এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হন।  পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। রাতভর অভিযান চালিয়ে দুই শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং এর সঙ্গে জড়িত চারজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, মামলার বাদী মনিরুল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর গ্রামে। তার কাছ থেকে বাকিতে খেলনা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ এলাকার সালামপুর গ্রামের ১৩ বছরের ওই শিশু। কাজের সুবিধায় সে রাজশাহীর তানোর উপজেলার দিব্যস্তল গ্রামের ১২ বছর বয়সী বন্ধুকে নিয়ে মেলায় এসেছিল।

ওসি মেহেদী হাসান আরও বলেন, পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে মামলা করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।