• ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী রুটে একটি পুরো ট্রেন ভাড়া করেছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুন্না খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত-বিএনপি আজ বিশ্বে সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ ঢাকায় ঢাবি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে-ড. আসাদুজ্জামান রিপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে রাজশাহীতে জমজমাট মেস ব্যবসা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা সোমবার থেকেই খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ মধ্যরাতে অথবা কাল ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেয়া হবে আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি

স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি চান বেশির ভাগ নেতা

Reporter Name / ১৪২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২

বিএনপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটির পক্ষে বেশিরভাগ নেতা মতামত দিয়েছেন।মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের বিষয়ে মতামত গ্রহণকালে নেতারা তাদের এ মত দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পৃথক-পৃথকভাবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ৮২ জন নেতার মতামত নেন।

এর মধ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সুপার সিক্স বাদ দিয়ে সহ সভাপতি ২৯ জন, যুগ্ম সম্পাদক ২০ জন, সহ সাধারণ সম্পাদক ৩০ জন ছিলেন।

এখন সুপার সিক্স নেতাদের মতামত নিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত সময়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে ছাত্রদল, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের আগে সংগঠনের নেতাদের মতামত শুনেছেন তারেক রহমান। পরে সবার মতামত এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শমতো তিনি এসব সংগঠনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন। এবারও সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন তিনি।

নতুন কমিটির বিষয়ে তারেক রহমান প্রত্যেক নেতার কাছে মতামত জানতে চান। কমিটিতে যোগ্য নেতা হিসাবে তিনজন নেতার নামও শুনতে চান তাদের কাছে। শীর্ষ পদপ্রত্যাশী নেতাদের নিজেদের পদকে উহ্য রেখে অন্য পদের জন্য পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনজন নেতার নাম প্রস্তাব করার জন্য বলা হয়েছে।

সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বেশিরভাগ নেতা সভাপতি হিসেবে সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলের নাম প্রস্তাব করেছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নাম এসেছে। এ ছাড়াও সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সহ সভাপতি আনু মোহাম্মদ শামীম, সহ-দফতর সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, ছাত্রদল সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের নামও এসেছে।

এদিকে অনেক নেতা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভেতর থেকে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। আবার অনেকে একজনকে ভেতর থেকে ও আরেকজনকে সাবেক ছাত্রনেতা থেকে বাছাই করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

বেশ কয়েকজন নেতা সংগঠনের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থার সমালোচনা করে বলেছেন, দলের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে কথা বলার জন্য সব নেতা আসতে পারলেও কর্মসূচিতে এর দুই-তৃতীয়াংশই উপস্থিত থাকেন না। তাই ত্যাগী আর যোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।

২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর প্রয়াত শফিউল বারী বাবুকে সভাপতি ও আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষের এক বছর পর ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ১৪৯ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে শফিউল বারী বাবুর মৃত্যু হলে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। পরে এ বছরের ২০ এপ্রিল স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৫২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয় এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে ভারমুক্ত করে সভাপতি করা হয়।

সূত্র: সমকাল


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো খবর

৯৯ রান যোগ করেই শেষ রাজশাহী, রংপুরের বড় জয়জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল রংপুর বিভাগ। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন দরকার ছিল রাজশাহীর চার উইকেট। প্রথম সেশনে রাজশাহীর গোলাম কিবরিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। মঙ্গলবার রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০১ রান। কিন্তু আগের দিন ৬২ রান করা রাজশাহী আজ আরও ৯৯ রান যোগ করেই থেমে গেছে। তাতে ১০১ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আরিফুল হক। সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জয়ের সুবাস নিয়েই খেলতে নেমেছিল রংপুর। লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সোমবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। কিন্তু শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল আরও ৪ উইকেট। তার পর প্রতিপক্ষকে সহজেই ১৬১ রানে অলআউট করেছে। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন গোলাম কিবরিয়া। ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে সানজামুলের ব্যাট থেকে (২৩) রান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আরিফুল হক। তৃতীয় দিনে তার চমৎকার বোলিংয়ে মূলত ম্যাচে ফেরে রংপুর। ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের পথটা তিনিই তৈরি করেছেন। পরপর দুই বলে প্রিতম ও ওয়াসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও কীর্তিটি গড়তে পারেননি। এছাড়া রবিউল হক, আব্দুল গাফফার ও আবু হাসিম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিল রংপুর। প্রথম ইনিংসে আরিফুলের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। আরিফুল ছাড়া দলের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ১৬১ বলে ১০৩ রানে সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। রংপুরকে অল্পরানে গুটিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি একাই নেন ছয়টি উইকেট। এরপর রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও রবিউল হকের বোলিংয়ে ১৮৯ রানে থামে দলটির ইনিংস। সাব্বির হোসেন ৪৭ ও ওয়াইসি সিদ্দিকি খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। জবাবে রংপুরের টপ অর্ডার ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেনি। অধিনায়ক আকবর আলী ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়া তানভীর হায়দার (৪০), মিম মোসাদ্দেক (৩৩), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩২) রানের ইনিংস খেলেছেন। তাদের অবদানে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান।