স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি চান বেশির ভাগ নেতা

স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি চান বেশির ভাগ নেতা

বিএনপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটির পক্ষে বেশিরভাগ নেতা মতামত দিয়েছেন।মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের বিষয়ে মতামত গ্রহণকালে নেতারা তাদের এ মত দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পৃথক-পৃথকভাবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ৮২ জন নেতার মতামত নেন।

এর মধ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সুপার সিক্স বাদ দিয়ে সহ সভাপতি ২৯ জন, যুগ্ম সম্পাদক ২০ জন, সহ সাধারণ সম্পাদক ৩০ জন ছিলেন।

এখন সুপার সিক্স নেতাদের মতামত নিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত সময়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে ছাত্রদল, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের আগে সংগঠনের নেতাদের মতামত শুনেছেন তারেক রহমান। পরে সবার মতামত এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শমতো তিনি এসব সংগঠনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন। এবারও সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন তিনি।

নতুন কমিটির বিষয়ে তারেক রহমান প্রত্যেক নেতার কাছে মতামত জানতে চান। কমিটিতে যোগ্য নেতা হিসাবে তিনজন নেতার নামও শুনতে চান তাদের কাছে। শীর্ষ পদপ্রত্যাশী নেতাদের নিজেদের পদকে উহ্য রেখে অন্য পদের জন্য পছন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনজন নেতার নাম প্রস্তাব করার জন্য বলা হয়েছে।

সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বেশিরভাগ নেতা সভাপতি হিসেবে সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলের নাম প্রস্তাব করেছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নাম এসেছে। এ ছাড়াও সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সহ সভাপতি আনু মোহাম্মদ শামীম, সহ-দফতর সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, ছাত্রদল সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের নামও এসেছে।

এদিকে অনেক নেতা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভেতর থেকে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। আবার অনেকে একজনকে ভেতর থেকে ও আরেকজনকে সাবেক ছাত্রনেতা থেকে বাছাই করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

বেশ কয়েকজন নেতা সংগঠনের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থার সমালোচনা করে বলেছেন, দলের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে কথা বলার জন্য সব নেতা আসতে পারলেও কর্মসূচিতে এর দুই-তৃতীয়াংশই উপস্থিত থাকেন না। তাই ত্যাগী আর যোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।

২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর প্রয়াত শফিউল বারী বাবুকে সভাপতি ও আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষের এক বছর পর ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ১৪৯ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে শফিউল বারী বাবুর মৃত্যু হলে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। পরে এ বছরের ২০ এপ্রিল স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৫২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয় এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে ভারমুক্ত করে সভাপতি করা হয়।

সূত্র: সমকাল