দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ধরে রাখতে স্থায়ী দুটি ক্যাম্প পাচ্ছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এতে সুন্দরবনে র্যাবের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিয়মিত নজরদারিও বাড়বে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দুপুরে সুন্দরবনের বাদামতলা ওয়াচ টাওয়ার স্পটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন।তিনি বলেন, সুন্দরবনে র্যাবের দুটি অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা অতিশিগগির দুটি ক্যাম্প পাবো। যার মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি করতে পারবো। পাশাপাশি এখন সুন্দরবনে অনেক পর্যটক আসেন, জেলেরা মাছ ধরেন তারা আরও নিরাপদে সুন্দরবনে আসতে পারবেন এবং এটি তাদের জন্য অভায়রণ্য হবে। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, আপনারা জানেন সুন্দরবন দস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র্যাবকে টাস্কফোর্স ঘোষণা করেন। র্যাবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা কাজ করেছেন তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করেছেন। নতুন করে দস্যুরা যাতে মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। র্যাব মুখপাত্র বলেন, সুন্দরবনে দস্যুতা বন্ধে যা যা প্রয়োজন সবই আমরা করছি। এজন্য যাদের সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করা প্রয়োজন সবই আমরা করে যাচ্ছি। নিয়মিত আভিযানিক দল প্রস্তুত রয়েছে। হেলিকপ্টার দিয়ে এখন টহল দেওয়া হচ্ছে।