বেড়েই চলেছে সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। জেলার সবকটি পয়েন্টে এখন যমুনা নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে আজ শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ৬৬ পয়েন্ট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময় জেলার উত্তর কাজিপুর পয়েন্টে পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি ঘাট পয়েন্টে পানি ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ১৩ জুলাই থেকে সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। গত ৩ সপ্তাহে কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর এই পাঁচটি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নে এক লাখ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা আব্দুর রহিম। ইতিমধ্যেই জেলার প্রায় ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছ পানি বৃদ্ধির কারণে কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলায় এবং নদী তীরবর্তী এলাকায় নদী ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নদীপাড়ের মানুষেরা। এরই মধ্যে নদী ভাঙনে অনেক পরিবারের ঘরবাড়ি, বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কাজিপুর উপজেলার নাটুয়াপাড়া বাজার রক্ষায় নির্মিত বাঁধের মাটির অংশের অন্তত ৭০ ফুট এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিবার্হী প্রকৌশলী ওয়ালি উল্লাহ জানিয়েছেন আমরা ৫ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রস্তত রেখেছি। যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানেই এগুলো দেয়া হবে। জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহাম্মদ জানান, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্ততি রয়েছে। ৫৪১ মেট্রিকটন চালসহ ডাল, শুকনো খাবার প্রস্তত করে রাখা হয়েছে। এছাড়া নগদ এক কোটি ৮২ লাখ টাকা হাতে রয়েছে। এরই মধ্যে বন্যাকবলিত উপজেলা সমুহে খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৭৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।