গ্রহণ করা হয়েছে সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেছেন আদালত। আগামী ২০ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

অন্যদিকে মামলা থেকে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩১ জন অব্যাহতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। অব্যাহতি পাওয়া অন্য ৩০ আসামি হলেন- দৈনিক মানবজীবনের রিপোর্টার আল-আমিন, প্রিন্স ফাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ফরহাদ খান, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মাদ মোসলেম, মো. মিজানুর রহমান, মোর্শেদ আলম, কাকন আবু হানিফ, মো. রুবেল, আয়েশা আমান, মো. শামিম আক্তার, মো. সাত্তার মৃধা, মো. তৌফিক, মিলি হাসান, হাবিব আদনান, ঋষি কান্ত, মো. সোহেল হোসেন, ছালেহ আহমেদ, জসিম উদ্দিন, মো. খাইরুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম, মো. মাহফুজ আহমেদ, এম এ মামুন, মো. হেলাল, সেলিম চৌধুরী, ইস্পাত মোহাম্মাদ, বেলায়েত হোসেন, মারুফ রাজু ও মকটেল হোসেন মুক্তি। গত বছরের ৯ মার্চ মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৬/২৯/৩১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত ৮ এপ্রিল এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২ মার্চ মানবজমিন পত্রিকায় মতিউর রহমানের নির্দেশে রিপোর্টার আল-আমিন ‘পাপিয়ার মুখে আমলা, এমপি, ব্যবসায়ীসহ ৩০ জনের নাম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। সেখানে সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলার একজন করে সংসদ সদস্যের পাপিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া অন্য আসামিরা তাদের ফেসবুক আইডিতে পাপিয়ার খদ্দের ও সংশ্লিষ্টতায় মন্ত্রী, এমপি, আমলা এবং ব্যবসায়ীসহ অনেকে জড়িত মর্মে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তালিকা প্রকাশ করেছেন। যার মধ্যে বাদীর নাম আছে। সেসব মিথ্যা মানহানিকর সংবাদ ও মন্তব্য বাদী জাতীয় সংসদে বসে গত ৪ মার্চ সন্ধ্যায় প্রত্যক্ষ করেন। তা প্রকাশের মাধ্যমে আসামিরা বাদী এবং সংসদ সদস্যদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করেছেন। তাই বাদী মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন।