সীমিত আকারে চলছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এদিকে শনিবার (১৪ আগস্ট) ভোর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যানবাহন সীমিত চলার কারণে।

জানা গেছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যানবাহন সীমিত পারাপার ও রোববার ১৫ আগস্টের ছুটির কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে চাপে বেড়েছে যানবাহন ‍ও সাধারণ মানষের। এতে দক্ষিণ-পশ্চিম আঞ্চলের ঘাট পার হওয়া মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে বিকল্প রুট হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ব‍্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খানের পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি স্বল্পতায় বিকল্প রুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ব‍্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। এর আগে শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আবারও ধাক্কা দেয় ফেরি কাকলি। ওই ঘটনার পর আড়াই ঘণ্টার মতো বন্ধ থাকে এ রুটের ফেরি চলাচল। অবশ্য এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ওই ফেরির চালক ও সুকানিকে। এরপর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে বিকল্প রুট হিসেবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ব‍্যবহারের আহ্বান জানায় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত সোমবার (৯ আগস্ট) একই পিলারে ধাক্কা দিয়েছিল বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের আরেক রো রো ফেরি। সেই ঘটনার চার দিনের মাথায় আবারও পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, আগের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় খুঁটির পাইল ক্যাপের কিছু কংক্রিট উঠে গেছে। এটি সেতুর তেমন ক্ষতি না হলেও বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। তার আগে গত ২৩ জুলাই রো রো ফেরি শাহজালাল পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাট থেকে রওনা দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছিল।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধু জুলাই মাসেই ৩টি ফেরি সেতুর পিলারে আঘাত করেছে। অন্যদিকে সেতুতে বারবার ফেরি ধাক্কার ঘটনায় শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পরিদর্শনে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কা লাগার বিষয়ে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এ সেতু এখন পুরো জাতির সম্পদ, জাতীয়ভাবে মানুষ আহত হয়েছেন এবং অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কাকে তুচ্ছ কোনো ঘটনা ও নিছক কোনো দুর্ঘটনা অথবা চালকের অদক্ষতা বলে এড়িয়ে যাওয়া ভুল হবে। সেনাবাহিনীকে বলব, এ ব্যাপারে গভীরভাবে তদারকি করা দরকার। এখানে শষ্যের মধ্যে ভূত আছে কি না তাও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হবে।