লঞ্চে দগ্ধ : ৭২ যাত্রী বরিশাল মেডিকেলে ভর্তি

ঝালকাঠিতে যাত্রীবোঝাই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে ৭২ যাত্রীকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোররাত থেকে এ পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজনের ৫০ ভাগ পুড়েছে। ৫০ থেকে ৮০ ভাগ দগ্ধ ২০ জনের মতো রোগী রয়েছেন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে দগ্ধ পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দিতে ঢাকা থেকে চারজন প্রশিক্ষিত বার্ন চিকিৎসক বরিশাল যাচ্ছেন। বিকেলে ফ্লাইটযোগে তারা রওনা হবেন এদিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা  যাত্রীরা জানান, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। রাত ৩টা থেকে আগুন জ্বলতে থাকে। যাত্রীরা অনেকেই লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বাঁচেন। যাত্রীদের ধারণা, হতাহতের সংখ্যা অনেক। তবে কেউ এখনো নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। সূত্র জানিয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় সাড়ে ৩০০ যাত্রী ছিল। তবে যাত্রীদের দাবি, ৫০০ বেশি মানুষ নিয়ে যাত্র করেছিল নৌযানটি।