নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মামলা হামলার পথ বেছে নিয়ে সরকার: ফখরুল

নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মামলা হামলার পথ বেছে নিয়ে সরকার: ফখরুল

নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে সরকার বিরোধীদলের আন্দোলন দমন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমানউল্লাহ আমানের সাজা বহালের বিষয়ে তিনি বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন আদালত। আর এ রায় থেকে বোঝা যায় রাষ্ট্রযন্ত্র সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের দখলে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে শেরেবাংলা নগরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রায়ের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটি একটি ফরমেয়েশি রায়। এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রায় থেকে বুঝা যায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে দখলে রেখেছে আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে বিরোধীদলের আন্দোলন দমন করতে চায় সরকার। সেটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। জনগণ রাজপথে তাদের অধিকার আদায়ে করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে দূরে রাখতে, নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মামলা হামলার পথ বেছে নিয়ে সরকার। এ সরকারের শুভ বুদ্ধির সম্ভাবনা নেই। একমাত্র রাজপথের উত্তাল আন্দোলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাত্রা করছে। যখন দেশের মানুষের ভোটাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই এমন সময়ে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্য গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। নতুন করে শপথ নিয়েছি, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছে বিএনপি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যরিস্টার শাজাহান ওমর, ভাইস-চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ দলের বিভিন্ন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *