রোববার ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী আসছেন প্রধানমন্ত্রী

রোববার ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী আসছেন প্রধানমন্ত্রী

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ, কর্ণফুলি টানেল ও মেট্রোরেলের আদলে মঞ্চ

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ ঘিরে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ। রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহী আসছেন তিনি। তার আগমন উপলক্ষে এরই মধ্যে তোরণ, ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে বিভাগীয় শহরের প্রতিটি রাস্তা। আগেরবার দেয়া উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রায় সবকিছুই পূরণ হওয়ায় খুশি রাজশাহীবাসী। এরই মধ্যে সমাবেশস্থল, মাদরাসা ময়দানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজ। 

মঞ্চ তৈরির দায়িত্বে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলছেন, এবার নৌকার আদলে ১২০ ফিট দৈর্ঘের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্থানটিতে বসবেন, সেটির টেবিল তৈরি করা হবে মেট্রোরেলের আদলে। মূলত দেশের সফল মেগা প্রজেক্টগুলোর প্রতিচ্ছবি এই মঞ্চে দেখতে পারবেন সবাই।

২৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় বিভাগীয় এই জনসভা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে সদ্যসমাপ্ত হওয়া ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন শেখ হাসিনা।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সমাবেশ ঘিরে এরই মধ্যে রাজশাহীতে এসে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় নেতা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা। দুপুরে সমাবেশ স্থল পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।

এসময় নানক সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী মহানগরী এক উত্তাল জনসুমুদ্রে পরিণত হবে। জনসভার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সারা উত্তরবঙ্গের মানুষ এখন অপেক্ষায় রয়েছে জনসভায় আসার জন্য। 

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো অসাংবিধানিক দাবি করছে। তা এখন জনগণ আমলে নিচ্ছে না এবং পাত্তাও দিচ্ছে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে।

তিনি দাবি করেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপি জনগনের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না।

মাঠের এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ দলের শীর্ষ নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর এ আগমনকে কেন্দ্র করে দল যেমন চাঙা হয়ে উঠবে, তেমনি আসছে সিটি নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণাও হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা।