রুয়েট ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে

রুয়েট ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ডাকযোগে ওই শিক্ষকদের কাছে এমন চিঠি এসেছে। এরপর ওই শিক্ষকদের পক্ষে রুয়েটের রেজিস্টার সেলিম হোসেন নগরীর মতিহার থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

ডাকযোগে কাফনের কাপড় পাওয়া ওই নয়জন হলেন- রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফারুক হোসেন, সহ-সভাপতি ড. জগলুল শাহাদাত, রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. রবিউল আওয়াল, সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ, রুয়েট রেজিস্ট্রার ড. মো. সেলিম হোসেন, কম্পোট্রোলার নাজিমউদ্দীন আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ও সেকশন অফিসার রাইসুল ইসলাম রেজা।

এদিকে রেজিস্টার সেলিম হোসেনের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. মো. রবিউল আওয়াল, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), প্রফেসর ড. মো. জগলুল সাদত, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ, সদ্য সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), মো. মামুনুর রশীদ, উপ-পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), নাজিমউদ্দীন আহম্মদ, কম্পট্রোলার, প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ, প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম সহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তার নামে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ নাম দিয়ে পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি পাওয়া যায়। চিঠি খুললে চিঠির ভিতরে সাদা কাফনের কাপড়ের ২টি টুকরো অংশ পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দের মাঝে চরম আতঙ্ক ও ভয়ভীতির সঞ্চার হয় এবং সকলে প্রাণনাশের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রুয়েটের রেজিস্টার সেলিম হোসেন আরও জানান, শিক্ষকরা মনে করছেন, এই ঘটনার সঙ্গে গত ৬ ডিসেম্বর জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিদর্শন কমিটির সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে। এমন হুমকি ঘটনার সঠিক তদন্ত চেয়েছেন তারা।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরির আবেদন করেছে রুয়েট প্রশাসন। আমরা তদন্ত করছি।