রাজশাহীর বাঘায় থামছে না পদ্মার ভাঙন

রাজশাহীর বাঘায় থামছে না পদ্মার ভাঙন


রাজশাহীর বাঘায় থামছে না পদ্মার ভাঙন। অসময়ের ভাঙনে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৫টি চর বিলীন হয়ে গেছে। ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থানান্তর করা হয়েছে। চকরাজাপুর হাইস্কুল যে কোনো সময়ে পদ্মাগর্ভে চলে যাবে। ২৫০টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে।

ভাঙনে পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়েছে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুর চর, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দাদপুর চর, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশি ফতেপুর চর, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাসখালী চর, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চর। স্থানান্তর করা হয়েছে চকরাজাপুর ও পূর্বকালিদাসখালী এবং চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

হুমকিতে রয়েছে চকরাজাপুর হাইস্কুল ও বাজার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের  চকরাজাপুর, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের  কালিদাশখালি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের  লক্ষীনগর, ১ নম্বর ওয়ার্ডের  আতারপাড়া চর, ২ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাদিয়া চর ৭৫ ভাগ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাশখালী ৮০ ভাগ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কালিদাশখালী চরের ৭০ ভাগ।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার দেওয়ান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০টি পরিবারের তালিকা দেওয়া হয়েছে। আরও ৫০ পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছে। বিদ্যুতের ১৫০টি পুল উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহাবুব রাসেল বলেন, নদীর মাঝখানে চর পড়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় অসময়ে পদ্মার ভাঙন থামছে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ৪৮ পরিবারের প্রত্যেকে ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের সরকারি অনুদান দেওয়ার চেষ্টা চলছে।