রাজশাহীর আমের সুনাম দেশজুড়ে। জেলার বাঘায় মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ। আমগাছের নিচ দিয়ে গেলে মুকুলের গন্ধে ভরে উঠে মন। গাছে মুকুল দেখে চাষিদের মন খুশিতে ভরে উঠছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলন হবে।
গোচর গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, এলাকার প্রতিটি মানুষের আমগাছ রয়েছে। যে ব্যক্তি অন্যের জমিতে বসবাস করেন তিনিও বাড়ির আঙিনায় একটি গাছ লাগিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লা সুলতান জানান, অল্প সময়ের মধ্যে আমের ফলন পাওয়া যায়। মাত্র ২-৩ বছরের মধ্যে আম আসে শুরু করে। দীর্ঘ সময় ধরে আম পাওয়া যায়। এ উপজেলার মাটি আম চাষের জন্য খুব উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার আশানুরূপ ফলন হবে। মে, জুন ও জুলাই তিন মাস গাছে আম পাওয়া যায়। গাছে যে পরিমাণ মুকুল এসেছে, আবহাওয়া ভালো থাকলে উৎপাদন ভালো হবে। উপজেলায় ৮ হাজার ৬৯৬ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহযোগিতায় পাঁচ বছর ধরে আম বিশ্বের আটটি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এবারো রপ্তানি করা হবে।