রাজশাহীতে কমিউনিটি পুলিশ ডে-২০২২ উদযাপন

রাজশাহীতে কমিউনিটি পুলিশ ডে-২০২২ উদযাপন

পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ স্লোগানে রাজশাহীতে কমিউনিটি পুলিশ ডে-২০২২ উদযাপন করা হয়েছে।
দিবস টি উপলক্ষে আজ সকাল ১০ টায় নগরীর আলুপট্রি মোড় থেকে র‍্যালি ও আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়৷ পরে রাজশাহী কলেজে এসে র‍্যালি শেষ হয়। র‍্যালিতে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অংশগ্রহণ করে। ও

রাজশাহীতে কমিউনিটি পুলিশ ডে-২০২২ উদযাপন

সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
সভাপতি আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। প্রধান অতিথি রাজশাহী মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির আহ্বান প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপিকা জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার, রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আব্দুল খালেকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার আগের সমাজের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, নারী যুবক ও বৃদ্ধদের মাঝে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।
আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং যে ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই কমিউনিটি পুলিশ সমাজের মাদক, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং সহ অন্যান্য অপরাধ মূলক কাজ করছে। করোনা কালিন সময়ে নগর পিতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সহযোগিতায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে প্রসংশা কুড়িয়েছেন। এমন কার্যক্রম আগামীদিনে আরো গতিশীল হবে এমনটায় প্রত্যাশা করেন।

পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ এই মূলমন্ত্রের ভিত্তিতেই কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রমের পরিচালিত হয়ে আসছে। পুলিশ নিজে একা সকল কাজ ি জনগণের সেবা করতে পারে না তাই সকলকে নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। কমিউনিটি পুলিশিং সেটাই করে যাচ্ছে। করোনা কালিন সময়প আপনারা দেখেছেন কি ভাবে রাতদিন কাজ করেছেন। এতে কমিউনিটি কার্যক্রমের সাথে জড়িত সকলেই সহযোগিতা করেছেন। রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সহযোগিতায় এই সেবা কার্যক্রম আরো জোরালো ভূমিকা রাখেন। রোগীদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করেছি। অপরাধ নির্মূলে মহানগরীতে ৫০০ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে অপরাধ কমাতে সক্ষম হয়েছি। সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন করে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মহানগরীতে যে ভাবে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত শুরু হয়েছিলো সেগুলো নিয়ন্ত্রণ ও অভিভাবকদের ডেকে আমরা সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আগামীদিনে আমরা জনগণ ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও সংগঠনের সাথে কাজ করে জনগণের সেবা করে যেতো চাই।