ফের বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

ফের বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এ তথ্য জানিয়েছে।

একই সময়ে বায়ুদূষণের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। এর স্কোর হলো ১৬১ এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কোরিয়ার একটি শহর আর চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। আর জাকার্তা শহরটির দূষণের সূচকে স্কোর হচ্ছে ১৫৯ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
এর পর রয়েছে ভারতের দিল্লি এবং চীনের দুটি শহর ও চিলি। এর পর রয়েছে চীনের একটি শহর ও কুয়েতের কুয়েত সিটি।
রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
 
স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-র বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, প্রতিবছরই পূর্ববর্তী দিনের চেয়ে গড়ে ৮ থেকে ১০ ভাগ দূষণ বেড়েছে। কিন্তু এর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মহানগরীতে সবচেয়ে বেশি ৩১ ভাগ বায়ুদূষণ ঘটে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণকাজের কারণে। ফলে কোনো নির্দিষ্ট এলাকাকে বায়ুদূষণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, যে এলাকায় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হয়, সেখানে বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, ‘বায়ুদূষণের কারণে আমাদের হার্টের ক্ষতি হয়। ব্রেনের ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে ফুসফুসেরও সমস্যা হয়।’