যমুনার বুকে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার যমুনা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ। এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। নানা নামের আর নানা রঙের নৌকা অংশ নেয় প্রতিযোগিতায়।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী হুগড়া ইউনিয়নের মালতীপাড়া, গয়রাগাছা, গন্ধবপুর, কাজী বাজার এলাকার যমুনা নদীতে করা হয় এ আয়োজন। সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম আলো, সোনার বাংলা, সোনারতরী, যমুনার তরীসহ বিভিন্ন রং বেরঙের ৪৫টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় ভূঞাপুরের সোনারতরী নামের নৌকাটি। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে আসা আশরাফ আলী বলেন, ‘আমি ৬০ বছর যাবত নৌকা বাইচ দেখি। নৌকা বাইচের খবর শুনলে আর ঘরে বসে থাকতে পারি না। আজকেও প্রায় পাঁচশতাধিক টাকা খরচ করে এই আয়োজন দেখতে এসেছি। দেখে খুবই ভাল লাগলো।’ গয়রাগাছা গ্রামের কবির মিয়া বলেন, ‘ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে যেমন বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয় স্বজন আসে। নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে ঠিক ওই পরিমাণ আত্মীয় স্বজন এসেছে। সবাই নৌকা বাইচের অপেক্ষায় থাকে। এ নৌকা বাইচে আমরা অনেক আনন্দ উপভোগ করলাম।’অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ ছানোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী এবং টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর। সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘নদীমাতৃক বাংলাদেশে বন্যাকে মোকাবেলা করেই আমাদের চলতে হয়। প্রাচীনকাল থেকেই বর্ষাকালে বিভিন্ন এলাকায় নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। করোনা পরবর্তী সময়ে কয়েকটি গ্রামের মানুষ একটু বিনোদনের জন্য নৌকা বাইচের আয়োজন করেছে। সুন্দর একটি পরিবেশে নৌকা বাইচ দেখে অনেক ভাল লাগলো। টাঙ্গাইলের বাইরেও আশেপাশের আরও পাঁচ/ছয়টি জেলা থেকে নৌকা বাইচে অংশ নিতে এবং দেখতে অনেক মানুষ এসেছে। ভবিষ্যতে আরো বৃহৎ পরিসরে যমুনা নদীতে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হবে।’