ম্যাচের শেষ দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বাংলাদেশ কোচ

প্রথম ইনিংসে তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজরা ম্যাচের তৃতীয় দিন ৫৮ ওভারে ১৪১ রানে পাকিস্তানের ১০ উইকেটের পতন ঘটিয়েছিলেন। তাইজুল একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট। এখন ম্যাচের শেষ দিন পাকিস্তানের চাই ৯৩ রান, হাতে আছে ১০ উইকেট।

খালি চোখে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের হাতে। তাদের দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক ১০৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে উইকেটে থিতু হয়ে গেছেন। এরকম অবস্থায় অতিনাটকীয় কিছু ঘটলেই কেবল বাংলাদেশের সম্ভাবনা থাকবে, না হয় ম্যাচ পাকিস্তানিদের।

সেই অলৌকিকতায় ভরসা রেখে বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো এখনও আশা ছাড়েননি। তার অনুভব, এখনও বাংলাদেশের সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। তার কথা, ‘পাকিস্তানের ৯৩ রান প্রয়োজন। এরকম অবস্থায় বিশেষ কিছু করা জরুরী। কেবল তখনই আমাদের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।’

ডোমিঙ্গোর আশা, ‘ক্রিকেটে সবই সম্ভব। আমাদের ভাবতে হবে আমাদের সম্ভাবনা এখনও আছে। যদি শেষ দিন সকালে আধঘন্টার মধ্যে একাধিক উইকেটের পতন ঘটাতে পারি, তাহলে যে কোন ঘটনা যেতে পারে।’

প্রথম ইনিংসে এর চেয়েও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে একে একে সাজঘরে ফিরেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। আবিদ, শফিক ও ফাহিম আশরাফ ছাড়া কেউ রান করতে পারেননি। এটা ঠিক যে সোমবার হঠাৎ উইকেট ভালো আচরণ করেছে।

রোববার যেভাবে বল সাপের মত একে বেঁকে গেছে, মাঝেমধ্যে স্পিনারদের বল গ্রিপ করেছে, একটু ওঠানামাও করেছে; আজ কিছুই হয়নি। শেষ দিনও যাদ তাই থাকে, পিচ থেকে বোলাররাও একটুও যদি সহায়তা না পান- তাহলে ডোমিঙ্গোর সেই অবিশ্বাস্য কিছুর আশা দূরাশায় পরিণত হবে। দেখা যাক, আসলে কী হয়?