মার্কিন কংগ্রেস স্পিকার পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে তুমুল উত্তেজনা

মার্কিন কংগ্রেস স্পিকার পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে তুমুল উত্তেজনা

মার্কিন কংগ্রেস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। চীনা সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রাখা হয়েছে। তারা তাইওয়ানকে ঘিরে যেকোনো সময় ‘সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান’ শুরু করতে পারে বলে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

এদিকে পিপল’স লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) এস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের পক্ষ থেকে পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের কাছেই যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে তারা। মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) রাতেই এ মহড়া শুরু হবে। সেই সঙ্গে তাইওয়ানের পূর্বে সাগরে ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়বে বলে জানিয়েছে পিএলএ।

তাইওয়ানের বিশ্লেষকরাও তেমনটাই আশঙ্কা করছেন। তবে চীন কোনো সংঘাতে জড়াবে বলেও মনে করছেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, পেলোসির এ সফরের জবাবে চীনের প্রতিক্রিয়া স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উভয়ই হতে পারে।

তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিকার যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান বিষয়ক গবেষক জেমস লি বলছেন, বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এখন সামরিক তৎপরতা বাড়ানো হতে পারে। যেমন মহড়ার মতো করে গোলাগুলি চালানো হতে পারে। তবে সেটা এমনভাবে যাতে তাইওয়ান বা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না জড়াতে হয়।

লি আরও বলেন, চীনা যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানগুলো এখন তাইওয়ান প্রণালীকে বিভক্তকারী মধ্যরেখা পার হতে পারে। তবে তাদের তাইওয়ানের জলসীমা ও আকাশসীমা পার না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

চীনের হুমকি উপক্ষা করেই তাইওয়ান সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) মালয়েশিয়া সফর শেষে তাইওয়ান যান তিনি।
রোববার (৩১ জুলাই) হাওয়াই দ্বীপ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে পেলোসির চারদিনব্যাপী এশিয়া সফর শুরু হয়। তবে তার সফরসূচিতে তাইওয়ান সফরের বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। যদিও তার তাইওয়ান সফর নিয়ে কয়েকসপ্তাহ ধরেই গুঞ্জন চলছিল।

সফর সূচি অনুযায়ী, সোমবার (০১ আগস্ট) সিঙ্গাপুরে যান পেলোসি। মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) সফর করেন মালয়েশিয়া। এরপর সেখান থেকে তাইওয়ানের উদ্দেশে রওনা হন।
পেলোসির এ সফর পুরো এশিয়াজুড়ে উত্তেজনা উসকে দিয়েছে। মঙ্গলবারও চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পেলোসি তাইওয়ান প্রবেশ করলে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।

এদিকে পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে চীনকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। একইসঙ্গে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে তাইওয়ানের কাছেই একটি বিমানবাহী রণতরীসহ অন্তত চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ।