মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরীর দাফন সম্পন্ন

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির হাফেজ মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। হাটহাজারী মাদরাসায় বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টার দিকে তার মরদেহ দাফন করা হয়। হেফাজতের চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক দফতর সম্পাদক আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৭ মিনিটে হাটহাজারীর ডাক বাংলোর সামনে জুনাইদ বাবুনগরীর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা ও হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমীর আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী।

জানাজায় মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় মরদেহবাহী গাড়ি দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসা থকে জানাজার আগে নিয়ে আসা হয় হাটহাজারীর ডাক বাংলোর সামনে। পরে সেখানে গাড়ি রেখে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসার ভেতর ও আশপাশের বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে  হাটহাজারী মাদরাসায় বাবুনগরীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে আসা হয়। এর আগে মরদেহ  তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে রাতে হাটহাজারী মাদরাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।

রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদরাসা প্রাঙ্গণে বিপুল লোকের ভিড় হয়। জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষজনকে তখন মাদরাসার বাইরে  রাস্তায়ও অপেক্ষা করতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে মারা যান জুনায়েদ বাবুনগরী। হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা মীর ইদরিস বলেন, সাড়ে ১২টার দিকে বাবু নগরীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

বাবুনগরীর খাদেম মাওলানা জুনায়েদ জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হন অনুসারীরা।

৬৭ বছর বয়সী আল্লামা বাবুনগরী দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। গত ১০ আগস্ট দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে জুনায়েদ বাবুনগরীর চোখের অপারেশন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুন মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির এবং মাওলানা নুরুল ইসলামকে মহাসচিব করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।