ভোক্তাদের ওপর দুর্নীতির দায় চাপাতে চায় ওয়াসা : ক্যাব

ভোক্তাদের ওপর দুর্নীতির দায় চাপাতে চায় ওয়াসা : ক্যাব

জনগণের সেবা নিশ্চিত না করেই পানির মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির দায় ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিন এ খান। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাব।

এসময় ক্যাবের সম্পাদক কাজি আবদুল হান্নান বলেন, “পানির দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো হলে ১০০ টাকার পানির জন্য ভ্যাটসহ একজন ভোক্তাকে গুনতে হবে ২৪৬ টাকা। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো হলে কমবে সংস্থাটির ঘাটতিও।

তিনি আরো বলেন, “সেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যের দিকে বেশি নজর। এছাড়া ১৪ দফা পানির দাম বাড়ানোর মাধ্যমে নিজের বেতন ৪২১ ভাগ বাড়িয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বর্তমানে তার বেতন ৬ লাখ টাকা”।

অন্যদিকে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে না থাকায় দিশাহারা হয়ে আয় বাড়াতে অনেকে দুনীর্তির পথ বেছে নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে, ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে ভর্তুকি কমাতে পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু পানি নয়, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াও চলমান। গ্যাসের দাম বাড়াতে বাংলাদেশ তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি)।

এছাড়া শুধু গ্যাসের দাম নয়, বিদ্যুতের দাম বাড়াতেও উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবও জমা পড়েছে বিইআরসিতে। বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবেও বলা হয়েছে ভর্তুকি সামাল দিতেই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব।

দাম বাড়ানোর প্রস্তাবগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রায় প্রতিবছর ওয়াসার পানি নিয়মিত বাড়ছে ৫ শতাংশ। তবে এ বছর ওয়াসা পানির দাম বাড়াতে চায় ২০ শতাংশ।

ওয়াসার প্রস্তাব অনুযায়ী, বাণিজ্যিক সংযোগে পানির দাম দাঁড়াবে ৫৫ টাকা। আগামী ১ জুলাই থেকে পানির নতুন দাম কার্যকর করতে চায় ঢাকা ওয়াসা।

বছরের পর বছর নিয়মিতভাবেই বাড়ছে মানুষের জীবনযাপনের অন্যতম উপাদান গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম। গতানুগতিক ধারাবাহিকতায় এ বছরও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এ বছর দাম বাড়ানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ সেটা মানুষকে হতাশ করার মতো।