ভাসানচর যাচ্ছে আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা

ভাসানচর যাচ্ছে আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ১৩ দফায় দ্বিতীয় দিনে আরও এক হাজার ৫৪৪ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ৩৫টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়েছে। এ নিয়ে ১৩ দফায় দুই দিনে ৩ হাজার ৫৪৩ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।বুধবার (৩০ মার্চ) বিকেলে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন।

এর আগে ১৩ দফায় প্রথম দিনে ৩৯টি বাসে করে এক হাজার ৯৯৯ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সামছু-দ্দৌজা বলেন, বিকেলে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবির থেকে ১৩ দফায় দ্বিতীয় দিনে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ৫০১টি পরিবারের এক হাজার ৫৪৪ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ৩৫টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এর আগে প্রথম দিনে রওনা দিয়েছিল এক হাজার ৯৯৯ জন।  রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী কয়েকটি বাসও রওনা দেয় বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার। সামছু-দ্দৌজা বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশকারী রোহিঙ্গাদের নাম তালিকাবদ্ধের জন্য উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে একটি অস্থায়ী বুথ খোলা হয়েছে। সেখানে শুধু স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে।  ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে প্রথম রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি প্রকাশের মাধ্যমে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর। এর আগে ১২ দফা পর্যন্ত কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৫৭৮ জন রোহিঙ্গাকে। এবারের ১৩ দফায় দুই দিনের তিন হাজার ৫৪৪ জনসহ মোট ২৮ হাজার ১২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, গত ২০২০ সালে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত সবধরণের সুযোগ-সুবিধার নির্মাণ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সরকার।