ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাক্ষী হলো ঢাকা

ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাক্ষী হলো ঢাকা

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে। ঢাকায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্রতা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। বাংলা বর্ষবরণের প্রথম দিনেই ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সাক্ষী হলো ঢাকা। এর আগে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছিল ১৯৬৫ সালে।

রেকর্ড তাপমাত্রার এই দিনে বৈশাখের চিরাচরিত নিয়ম ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ভিড় করেন রাজধানীবাসী। বেলা বাড়লেও সড়কগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। চরম গরমে বর্ষবরণের রঙ যেন ফিকে হয়ে যায়।

প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দেশের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, রোজা আছি, চরম কষ্টে আছি। বিকেল হয়ে যাচ্ছে, তাও রোদের ভীষণ তেজ। তাই মোটরে গোসল করছি। আরেকজন বলেন, একবার কাপড় ভিজাচ্ছি, তারপর বিশ্রাম নিচ্ছি। আবার কাপড় ভিজাচ্ছি, ঠাণ্ডা হচ্ছি। এছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না। তাপমাত্রার কারণে কাজ করা যাচ্ছে না। অপরজন বলেন, অনেক বেশি গরম। শরীর জ্বালাপোড়া করছে। চরম অশান্তি লাগছে। ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। এমনকি ফিট যাওয়ার মতো অবস্থা হচ্ছে। দাবদাহ কমে কবে নামবে বৃষ্টি, সহসা এ নিয়ে সুখবর নেই আবহাওয়া অফিসের কাছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজকে। যেটা চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৪ সালে যা ছিল ৪২ ডিগ্রি আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।  ময়মনসিংহ ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।  সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ তাপপ্রবাহ আরো কয়েকদিন চলমান থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *