বিয়ের নামে রাবি ছাত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

বিয়ের নামে রাবি ছাত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

বিয়ের নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্সে অধ্যয়নরত ছাত্রীর (২৩) সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে আসিফ ইকবাল (২৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় নগরীর সিটি গার্ডেন নামের এক রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। অভিযুক্ত আসিফ পাবনার সাথিয়া উপজেলার চককোনাবাড়িয়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার বাড্ডা লিংক রোড এলাকার শিফা গ্রুপ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ইনচার্জ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বরত। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ২০১৮ সালে ছোটবেলার বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় আসিফের সঙ্গে। পাবনায় একই উপজেলায় বাড়ি হওয়ায় বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। পরবর্তীতে পরিবারের অমতেই ২০১৯ সালের ২ মার্চে বিয়ে হয় ঢাকার নারায়ণগঞ্জে। প্রথম অবস্থায় আসিফ ঢাকায় যে চাকরি করে খুব সামান্য অর্থ উপার্জন করতো। এ কারণে সে আমাকে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করতে বাধ্য করে। বিয়ের পর তার ব্যক্তিগত খরচ থেকে শুরু করে আমার পড়াশোনার খরচ চালাতে হতো আমাকে।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু সে মাদক ও জুয়ায় আসক্ত। যার কারণে বিয়ের পর দফায় দফায় ৮ লাখ টাকা আমার কাছে থেকে যৌতুক নেয় সে। তার জুয়া ও মাদকাসক্তির কারণে আবারও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তার দাবিকৃত অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় শুরু হয় নির্যাতন। ভুক্তভোগীর শিক্ষার্থীর ভাষ্য, সে (আসিফ) শুধু আমাকে বিয়ের নামে বছরের পর বছর প্রতারণা করেছে এবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাসা বাড়ি ও রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেও সে এখন বৈধ বিয়েকে অবৈধ ও ভুয়া বলে দাবি করছে। তার এমন প্রতারণা ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে নারী নির্যাতন মামলা করলে সে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসে। এরপর আমাদের বেশ কিছু অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। আমার নম্বর ফেসবুকে দিয়ে অশালীন মিথ্যে কথা প্রচার করছে। এতে আর্থ-সামাজিকভাবে আমি ভীষণ হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত আসিফ ইকবাল বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত আছি। আপনার সঙ্গে পরে কথা বলবো।’ এ বিষয়ে মহিতার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলী তুহিন  বলেন, যেহেতু ওই শিক্ষার্থী বোয়ালিয়া থানাধীন টিকাপাড়ার বাসিন্দা। তাই আমি তাকে বোয়ালিয়ায় গিয়ে মামলা পরামর্শ দিয়েছিলাম। বোয়ালিয়ার ওসিকে মামলা নেওয়ার জন্যও বলেছিলাম। পরের ঘটনা আমার আর জানা নেই।বিষয়টি জানার জন্য বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে আরএমপির নগর মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ সম্পর্কিত বিষয় পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট দেখে থাকে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটে তিনি একটি আবেদন করে সে সম্পর্কিত বিষয়ে তথ্য প্রমাণ দিলে তারা যাচাই-বাছাই করে তদন্ত করবে। বিষয়টি আমলে নেওয়ার মতো হলে অবশ্যই পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।