বিসিবি’র তহবিলে ৯০০ কোটি টাকা আছে – পাপন

২০২৩ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উপার্জন বেড়ে ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার সমপরিমাণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ক্রিকেট বোর্ডের প্রয়াত পরিচালক আফজালুর রহমান সিনহার স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিসিবি বস এ কথা বলেন।

বিসিবি এখন বিশ্বের পঞ্চম ধনী ক্রিকেট বোর্ড। যার সিংহভাগই আসছে দেশি প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া স্পন্সর ও টিভি স্বত্ব থেকে। এর বাইরেও আইসিসি থেকে বেশ বড়সড় অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে ক্রিকেট বোর্ডের। যার একটা অংশ বিসিবি পেলেও ২০২৩ সালে তা পাবে গ্রেড ওয়ান ক্যাটাগরিতে।

বিসিবির আর্থিক ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছ এবং গোছানো। তাই উপার্জন বেড়েছে ক্রিকেট বোর্ডের। এমন মন্তব্যও করেছেন পাপন। তিনি বলেন, বিদেশি কোচিং স্টাফসহ আনুষঙ্গিক কাজে প্রচুর খরচ হলেও, বোর্ডে টাকার অভাব নেই। বরং ২০২৩ সালে আইসিসি থেকে ইনকামের পরিমাণে অস্ট্রেলিয়ার সমকক্ষ হবে বাংলাদেশ।
 এ সম্পর্কে পাপন বলেন, ‘আমরা সব কিছু একটা কাঠামোর মধ্যে এনেছি। এখন আমাদের এফডিআর ৯০০ কোটি টাকার ওপরে। আইসিসি থেকে এখনও প্রত্যাশিত অর্থ পাচ্ছি না। তবে খুব শিগগিরই সে অবস্থার উন্নতি হবে। ২০২৩ সালে আমাদের ইনকাম হবে অস্ট্রেলিয়ার সমান।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘সিরিজ চলাকালীন অনেক কিছু কেনা হতো। পরবর্তীতে তার আর কোন হদিস পাওয় যেত না। তার মানে যে দুর্নীতি হয়েছে তা বলবো না, তবে মিস ম্যানেজমেন্ট ছিল। আগে বিসিবির সঙ্গে বাইরের কোম্পানির হাজার কোটি টাকার চুক্তি হতো! কিন্তু কয় টাকা বোর্ড পেতো? সত্যি কথা বলতে সবই ছিলো লোক দেখানো। সেখান থেকে বিসিবি খুব একটা লাভবান হতো না।

সভাপতির বক্তব্যেই স্পষ্ট, কতটা অব্যবস্থাপনার মাঝে ছিলো ক্রিকেট বোর্ড! তাই বলে দুর্নীতির অভিযোগ আনা যাবে না। কিন্তু যেখানে প্রতি বছর শত কোটি টাকার লেনদেন, সেখানে সন্দেহের তীর বিদ্ধ হতেই পারে। এর সবই এখন অতীত। বিসিবি এখন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়নের রোল মডেল।

ক্রিকেট বোর্ডের উপার্জনের সবচেয়ে বড় উৎস স্পন্সর। টিভি স্বত্ব থেকেও আসে মোটা অঙ্কের টাকা। এসব মাধ্যম থেকে এর আগে বিসিবির পকেট ভারী হতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় এসব উৎস থেকে বড় উপার্জন দেখানো হলেও বাস্তবতা নাকি ছিলো অন্তঃসারশূন্য!
 
বিসিবির বর্তমান কমিটির অধীনে ক্রিকেটে সাফল্য আছে। বিপরীতে ব্যর্থতার পাল্লাও খালি নয়। সন্নিকটে যখন আরো একটি নির্বাচন তখন অনেক হিসাব-নিকাশ উঠেই যায়।
পাপন এদিন বিসিবি বস হয়ে ওঠার গল্পও শুনিয়েছেন। ২০১২ সাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন তিনি। অন্য সবার মতো তিনিও বেশ অবাক হয়েছিলেন নিজের নাম শুনে। কুয়েতে রাষ্ট্রীয় এক সফরে বাবার সঙ্গে থাকাবস্থায় বিসিবির সভাপতি হিসেবে নিজের নাম শোনেন তিনি। 
 
বলেন, ‘বাবার রাষ্ট্রীয় সফরে সবসময় আমার বোনেরা যেত। কিন্তু কুয়েতের ওই সফরে তারা কেউ যেতে চাননি। তখন বাবা বললেন, তুমিই চলো। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। কুয়েতে থাকাবস্থাতেই প্রথমে আমার বোন ফোন করে জানায়, ‘টিভিতে দেখাচ্ছে বিসিবি সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন!