বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে। বোলাররা শুরুতে ভালো করলেও খেই হারান শেষদিকে। প্রস্তুতি ম্যাচটি ৪ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ দল।

ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৪৭ রান তোলে বাংলাদেশ। টাইগার বোলাররা প্রথম ১১ ওভারে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। ১১ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান। এরপর দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন আভিস্কা ফার্নান্দো ও চাকিমা করুনারত্নে। তাদের অবিচ্ছেদ্য ৭৩ রানের পার্টনারশিপে ১৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে মাঠে ছাড়ে লঙ্কানরা।

১৪৮ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আউট হন ওপেনার কুশল পেরেরা। ৮ বলে ৪ রান করে ফেরেন তিনি। আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। তাকে আউট করেন শেখ মেহেদী হাসান। দলীয় স্কোর পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগে দীনেশ চান্ডিমালকে আউট করেন সৌম্য। আউট হওয়ার আগে চান্ডিমাল খেলেন ১৫ বলে ১৩ রানের ইনিংস।

অধিনায়ক দাসুন শানাকাও লড়াই করতে পারেননি, ফিরেছেন ৬ রান করে। ভানুকা রাজাপক্ষেকে রানের খাতা খুলতে দেননি সৌম্য। সপ্তম উইকেট জুটিতে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন আভিস্কা ও করুনারত্নে। অর্ধশতকের স্বাদ পান আভিস্কা। বাংলাদেশের হয়ে সৌম্য নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট।

এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। নাঈম শেখের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৩১ রান যোগ করে ১৪ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস। নাঈম আউট হন ১৯ বলে ১১ রান করে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৭ রান যোগ করেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। এ ম্যাচেও ব্যর্থ মুশফিক। ১৩ বলে সমান ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

আফিফ হোসেন ১৫ রান করে আউট হলে সৌম্য নিজের ইনিংসটাকে আর টানতে পারেননি। ১টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ২৬ বলে ৩৪ রান করে হাসারাঙ্গাকে উইকেট দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ব্যর্থতার মিছিলে নাম তুলেছেন শামীম পাটোয়ারীও। ৮ বল খেলে ৫ রান করে আউট হন তিনি।