বিপৎসীমার উপরে পদ্মা ও তিস্তার পানি

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে পদ্মা ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া দেশের একাধিক নদ-নদীর পানি বাড়ছে। শুক্রবার যমুনা নদীর পানিও একাধিক পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

এতে দেশের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে ফরিদপুর ও নীলফামারী ও লালমনিরহাটে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২২ হাজার মানুষ।

নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন। নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এর ফলে, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রামের ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে নদীগর্ভে ভিটেমাটি হারিয়েছে ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের কয়েকটি পরিবার। লালমনিরহাটেও বেড়েছে তিস্তার পানি। জেলার নিম্নাঞ্চলের ২১টি ইউনিয়নের অন্তত ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।

এদিকে, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। ফলে, ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসলসহ রাস্তাঘাট। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, সুরমা ব্যতীত দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বাড়তে পারে এবং অববাহিকাভুক্ত নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদী মথুরা ও আরিচা পয়েন্টে এবং পদ্মা নদী সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।