বিএনপির ঘোষিত ২৭ দফা রূপরেখা ‘হাস্যকর স্টান্টবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের

বিএনপির ঘোষিত ২৭ দফা রূপরেখা ‘হাস্যকর স্টান্টবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের

রাষ্ট্রকে মেরামতে বিএনপির ঘোষিত ২৭ দফা রূপরেখা ‘হাস্যকর স্টান্টবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষ্যে গঠিত খাদ্য উপ-কমিটি এ সভার আয়োজন করে।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় আসলে রূপরেখা বাস্তবায়ন হবে না। তারা আসলে এই রূপরেখা নদীতে ভেসে যাবে। রাষ্ট্রকে তারা মেরামত করবে- এমন কথায় বিস্ময় প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত নিয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে বাংলাদেশ আজকে সমৃদ্ধ , বিএনপি ভোট চুরি করেছে গণতন্ত্রের নামে হ্যাঁ-না ভোট করে ধংস করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। যারা ধ্বংস করে তারা মেরামত করবে কী করে, এটা অত্যন্ত হাস্যকর স্টান্টবাজি।

বিএনপিকে ‘মিথ্যাচারের হোতা’ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের মুখে সত্য বেমানান, বিএনপিকে কেউ বিশ্বাস করে না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা মাঠে রয়েছে কিন্তু সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। দেশের মানুষ এখনও বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। এটা প্রমাণিত সত্য বিএনপি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। বিএনপির লোকেরা ক্ষমতার লোভে মাঠে নেমেছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ’সাধারণ মানুষকে তারা আজও মাঠে নামাতে পারেনি। সাধারণ মানুষ আজও আওয়ামী লীগকে চায়, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন চায়। মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। তিনি অত্যান্ত সৎ। তিনি দিন রাত পরিশ্রম করেন মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য, নিজের পকেটের উন্নয়নের জন্য নয়।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত ওবায়দুল কাদের বলেন, তারাই ভোট চুরি করেছে। তারা নির্বাচন জালিয়াতি করেছে। প্রহসন মার্কা নির্বাচন তারাই করেছে। এসব ইতিহাস নতুন কিছু না। তারা ইয়েস-নো ভোট করেছিল। কোথাও কোথাও ১৩০ শতাংশ ইয়েস ভোট পড়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক র্মিজা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাহুল হোসেন সাচ্চু সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।