বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে চার ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে

বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে চার ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চার চ্যালেঞ্জ
চলতি বছরে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে চার ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।এগুলো হচ্ছে-জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবে কৃষি উৎপাদন কমবে, বৈশ্বিকভাবে খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিতে থাকতে হবে। আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রায় ঘাটতি মোকাবিলা করতে হবে, শিল্প কারখানা ও গৃহসামগ্রীর কাজে জ্বালানির সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদন যেমন ব্যাহত হবে, তেমনি খরচও বাড়বে। এসব কারণে গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে অর্থনীতিতে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এতে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে যাবে।
মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অর্থনীতি চলতি বছরে আরও কঠিন মন্দার মুখোমুখি হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এতে বলা হয়, চলতি বছরে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার কমবে। গত বছরের জুনে বিশ্বব্যাংক চলতি বছরে বৈশ্বিকভাবে যে প্রবৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল তার চেয়েও প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে।
বাংলাদেশেও প্রবৃদ্ধির হার আগের চেয়ে দেড় শতাংশ কমানো হয়েছে। গত বছরের জুনে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হবে আভাস দিয়েছিল। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই প্রবৃদ্ধির হার দেড় শতাংশ কমানো হয়েছে। ফলে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমকি ২ শতাংশ। তবে সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সম্প্রতি তা ১ শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করেছে।
বিশ্বব্যাংক গত জুনে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল ৬ দশমকি ২ শতাংশ। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাও দশমিক ৭ শতাংশ কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধির হারও কমানো হয়েছে।তবে ভারতের কম কমানো হয়েছে, পাকিস্তানের বেশি কমেছে। কারণ পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাদের উৎপাদনও কম হতে পারে।