ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় রাজনীতির শিকার রোনালদো

ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় রাজনীতির শিকার রোনালদো

কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে হেরে বিদায় নেয় পর্তুগাল। ওটিই ছিল বিশ্বকাপে রোনালদোর শেষ ম্যাচ। টুর্নামেন্টে কয়েকটি ম্যাচে শুরুর একাদশে রাখা হয়নি তাকে। বিশ্বকাপে রোনালদো রাজনীতির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় রাজনীতির শিকার বলে মনে করেন এরদোয়ান। এসময় পর্তুগিজ এই তারকাকে লিওনেল মেসির সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আল-জাজিরা

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) তুরস্কের এরজুরুম প্রদেশে একটি যুব ইভেন্টে বক্তৃতাকালে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এরদোয়ান বলেন, ‘ওরা রোনালদোকে কাজে লাগায়নি। দুর্ভাগ্যবশত, তারা তার ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ম্যাচের মাত্র ৩০ মিনিট বাকি থাকতে রোনালদোর মতো একজন ফুটবলারকে মাঠে পাঠানো হয়েছে। এটি তার মনস্তত্ত্বকে নষ্ট করেছে এবং তার তেজোদীপ্ততা কেড়ে নিয়েছে।

রোনালদো এমন একজন ব্যক্তি, যিনি ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন,’ যোগ করেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

তিনি আরও বলেন, পর্তুগিজ ফুটবলারকে লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করায় রোনালদোকে বিশ্বকাপে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।

মরক্কোর বিপক্ষে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বিকল্প হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছিল রোনালদোকে। এর আগে শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও বেঞ্চে বিকল্প হিসেবে দেখা গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই তারকা ফুটবলারকে।