পাকিস্তানে পার্লামেন্ট অধিবেশন রোববার পর্যন্ত স্থগিত

পাকিস্তানে পার্লামেন্ট অধিবেশন রোববার পর্যন্ত স্থগিত

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন আগামী রোববার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তিন দিন বিরতির পর বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) অধিবেশন শুরু হলেও কয়েক মিনিট পরই তা মুলতবি ঘোষণা করা হয়। খবর ডনের।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার লক্ষ্যে এদিন বিকেল চারটায় অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু বিরোধী আইনপ্রণেতাদের বিক্ষোভের মুখে কয়েক মিনিট পরই তা স্থগিত ঘোষণা করেন অধিবেশনের সভাপতি ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরি।

এরপর এক টুইটার বার্তায় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অব পাকিস্তান জানায়, আগামী রোববার (০৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে এগারটা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি থাকবে। ওই দিন রীতিমতো আবারও অধিবেশন শুরু হবে।    
এর আগে গত সপ্তাহেও একইভাবে অধিবেশন স্থগিত করা হয়। গত শুক্রবার (২৫ মার্চ) ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন সোমবার (২৮ মার্চ) পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল।  জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর বিতর্কের বিষয়টি রেখে বুধবার (৩০ মার্চ) রাতেই আদেশ জারি করে জাতীয় পরিষদ (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) সচিবালয়। গত সোমবারের অধিবেশনে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন। জিও নিউজের হিসাব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বিরোধী জোটের হাতে রয়েছে ১৯৯ ভোট। অন্যদিকে ইমরান সরকারের রয়েছে ১৪২ ভোট। প্রস্তাবের ওপর বিতর্কের পর আগামী ৩ এপ্রিল ভোটাভুটি হতে পারে।  এদিকে অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার সরকারের মন্ত্রীরা। এ ছাড়া ‘হুমকি দিয়ে চিঠি’ পাঠানোর ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকও আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।