নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার,আটক আরও ২ জেলে

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকারের দায়ে সোমবারও (১১ অক্টোবর) পটুয়াখালীতে দুই জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। এ ছাড়া অন্যান্য অভয়াশ্রমেও জোরদার রয়েছে টহল।

সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে টহল দিচ্ছিল মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশের একটি দল। এ সময় কয়েকজন জেলেকে জাল ফেলতে দেখে ধাওয়া করে তারা। এ সময় ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জালসহ দুজনকে আটক করা হয়। আটককৃত জেলেদের দাবি, ভিজিএফের চাল না পেয়ে বাধ্য হয়ে সংসার চালাতে মাছ ধরতে গেছেন তারা। জব্দকৃত জাল লেবুখালী এলাকায় জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোলা ও চাঁদপুরেও অভিযান সফল করতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ২২ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৪ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ সময় মৎস্য অধিদপ্তর বলেছিল, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হলে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ সময় জেলেরা ২০ কেজি করে চাল সহায়তা পাবেন। ৪ অক্টোবর হতে সোমবার (১১ অক্টোবর) সময়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪৫ জন আটক করেছে মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ। তার মধ্যে ৬ অক্টোবর সকালে পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে অভিযানের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার দায়ে ৫ জেলেকে আটক করে জরিমানা করেছিল মৎস্য বিভাগ ও নৌপুলিশ। জব্দকৃত ১০ হাজার মিটার কারেন্টসহ চরগড়া জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। সেদিন ভোলাতেও অভিযান চালিয়ে ৯ হাজার মিটার জাল ও প্রায় এক মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। তবে এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি। অপরদিকে ৭ অক্টোবর সকালে মাদারীপুরের শিবচরে ৩৩ জেলেকে আটক ও জরিমানার দণ্ড দেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী মাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রকিবুল হাসান উল্লেখ্য, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ ‍দিনের অভিযান চলছে। অভিযানে পদ্মা-মেঘনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্পিডবোড দিয়ে টহলের পাশাপাশি বাজারে ইলিশ বিক্রি ও মজুতে রয়েছে কঠোর নজরদারি।