ধামইরহাটে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

ধামইরহাটে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

নওগাঁর ধামইরহাটে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে উপজেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা চলাকালে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, ২৯ আগস্ট দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা চলছিল। সেখানে জেলার কয়েকজন নেতাও উপস্থিত ছিলেন। এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আনিছুর রহমান, যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক লিটন, বিএনপি সমর্থক হানজালা, ছাত্রদলের নেতা রুম্মন হোসেন, বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা রতন ও মওদুদসহ বেশকয়েকজন অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আখরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রেজুয়ান হোসেন রঞ্জু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, উমার ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মানিক হোসেন, আলমপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য ফারুক হোসেন, জেলা ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান, সোহাগ হোসেনসহ অন্তত ৩০জন আহত হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, সাবেক এমপি সামসুজ্জোহা খান, এমপি প্রার্থী নাজিবুল্লাহ চৌধুরী ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুবার রহমান চৌধুরী চপলের এমপি মনোনয়ন চাওয়ার জের ধরে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। যার ফলশ্রুতিতে আজকের এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আহত বিএনপি নেতা আখরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা চলছিল। এসময় সাবেক এমপি সামসুজ্জোহা খান জোহার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে এমপি সামসুজ্জোহা খানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মাহবুবার রহমান চৌধুরী চপল বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে নওগাঁ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে রাত ৮টা থেকে বৈঠক চলছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে বিএনপি কার্যালয়ে জেলার কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা কার্যালয়ে জরুরি আলোচনা হচ্ছে।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি।