ই-গেট স্থাপন দেশের তিন বিমানবন্দরে

জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে শুরু হলো ই-পাসপোর্ট সেবা। গত শুক্রবার নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন জানিয়েছেন, দেশের তিনটি বিমানবন্দরে এরই মধ্যে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ও কনসাল জেনারেল কয়েকজন আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্টের এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন। সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন বলেন, ‘নতুন প্রচলিত ই-পাসপোর্ট বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হওয়ায় এতে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। যার ফলে বহির্বিশ্বে এই পাসপোর্টধারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান সরকার এরই মধ্যে ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে ই-গেট স্থাপন করেছে। যা যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে।কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এই ঐতিহাসিক ও আনন্দঘন মুহূর্তে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ই-পাসপোর্ট সেবার শুভ সূচনা করলো। ই-পাসপোর্টের প্রচলন উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করেন। এই পাসপোর্ট বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রযুক্তিনির্ভর একটি পাসপোর্ট। কভিড-১৯ মহামারির কারণে দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা দেরি হয়েছে, তবে অচিরেই পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা নাগরিকদের দিতে সরকার বদ্ধ পরিকর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ঢাকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কনস্যুলটে আসা সেবা প্রার্থী ছাড়াও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিদেশে বাংলাদেশের প্রথম মিশন হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বাংলাদেশের দ্বিতীয় মিশন হিসেবে গত শনিবার নিউইর্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে এ সেবা চালু করা হলো।