দুঃসংবাদ পেলেন বাবর আজম

সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দারুণ ছন্দে ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজম। দলকে যেমন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনি ব্যাট হাতেও একের পর এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।কিন্তু বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সিরিজ এবং ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে যেন নিজেকেই হারিয়ে খুঁজছেন তিনি। করতে পারছেন না নিজের নামের প্রতি সুবিচারও। আর তারই প্রতিফলন দেখা গেল টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়েও। টানা ব্যর্থতার মাশুল দিয়ে টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান খোয়াতে হয়েছে পাক অধিনায়ককে।

এক থেকে দুই ধাপ নিচে নেমে গেছেন বাবর। তার বর্তমান অবস্থান তৃতীয়। এদিকে, বাবরের সিংহাসন নিজের দখলে নিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম। বাবর সিংহাসন হারালেও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আরেক পাক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। তিনি আছে চতুর্থ পজিশনে। এছাড়া ভারতের কে এল রাহুলের অবস্থান তারপরই। অর্থাৎ পঞ্চম। এছাড়া ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন অজি ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিঞ্চ। সাতে কিউই উইকেটকিপার ব্যাটার ডেভন কনওয়ে। তবে সেরা দশে নেই বিরাট কোহলি।  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে থাকলেও গত বাংলাদেশ সিরিজ থেকেই যেন ছন্দহীন তিনি।  ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয়টিতেও ৭ বলে মাত্র ৭ রান করেছেন। দলীয় অধিনায়ক রানখরায় ভুগলেও বাইশগজে দারুণ সময় কাটছে পাকিস্তানের। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই উড়ছে বাবর আজম বাহিনী। এবার ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও ধরাশায়ী করল তারা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান করে ১৭২ রান। জবাবে উইন্ডিজরা থেমেছে ১৬৩ রানে। অর্থাৎ ৯ রানের ব্যবধানে হার সফরকারীদের। এদিকে, এক বছরে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ল ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দল পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের রেকর্ড ভেঙেই নতুন রেকর্ড গড়ল তারা। এর আগে এক বছরে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ডও ছিল পাকিস্তানেরই নাম। ২০১৮ সালে ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছিল তারা। মিরপুরে বাংলাদেশকে তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বাবর আজমের দল সেই রেকর্ডে ভাগ বসায়