থমথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

আজ সকালে সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়ক দিয়ে অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। বাস-ট্রাকের মতো বড় যানবাহন বিকল্প পথে রাজশাহী বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। যান চলাচল যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য বিনোদপুর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে চলছে ছোট ছোট যান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে চলছে ছোট ছোট যান

এর আগে গতকাল দুপুর ১২টায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অগ্নিসংযোগ, ইট ও গাছের গুঁড়ি রেখে সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে তারা সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে সরে গিয়ে চারুকলা অনুষদসংলগ্ন রেললাইনে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ব্যানার, টায়ার, পাখির অবয়ব (ডামি) পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে। পাশাপাশি তারা রেললাইনের ৯২টি প্যান্ডেল ও একটি স্লিপার খুলে ফেলে। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন ত্যাগ করে ফিরে যান। গতকাল রাত ১২টা থেকে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল।

এদিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও পুরো ক্যাম্পাস ফাঁকা। শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। তবে জানা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা আবারও বিক্ষোভ করতে পারেন। গত শনিবার বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহীতে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। বাসের আসনে বসা নিয়ে তাঁর সঙ্গে ওই বাসের চালক ও সহকারীর বচসা হয়। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে তাঁদের সঙ্গে আবার বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান ওই শিক্ষার্থী। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। তখন শিক্ষার্থীরাও তাঁদের পাল্টা ধাওয়া দেন। এর পর থেকে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো বিনোদপুর এলাকা।

স্থানীয় ব্যক্তিদের হামলা-সংঘর্ষ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে এখনো ৯০ জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন এক শিক্ষার্থী। ছয়জন শিক্ষার্থীর চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।