চলমান লকডাউনে গার্মেন্টস ও কলকারখানা খোলার নির্দেশনায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চালক ও যাত্রীরা।
মহাসড়কে কর্তব্যরত পুলিশ জানায়, সরকারের নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এর আগে শনিবার (৩১ জুলাই) পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান জানিয়েছিলেন, গার্মেন্টসসহ সকল কলকারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সকল ধরনের গণপরিবহন চলবে। ওইদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলা এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে। এদিকে করোনা সংক্রমণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই রোববার (১ আগস্ট) থেকে চালু হচ্ছে পোশাক কারখানা। এ ঘোষণায় গ্রামে আটকা পড়া শ্রমিকরা যে যেভাবে পারছেন ঢাকাসহ শিল্পাঞ্চলে ছুটছেন। তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে পোশাক কারখানা মালিকদের সমালোচনা যখন চরমে, এমন সময়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।