ডেঙ্গুতে আরও ২৩২ জন ভর্তি

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ২৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শনিবার পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৪৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৩২ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৮৭ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে ভর্তি হয়েছেন ৪৫ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট এক হাজার ১৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৯৯০ জন। অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে ভর্তি আছেন ২০৭ জন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৪ হাজার ২০৪ জন। এ সময়কালে ডেঙ্গু সন্দেহে মারা গেছেন ৫৯ জন। এদিকে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে লার্ভার চেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক মশা নিধনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাওহীদ উদ্দিন আহমেদ। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘নগরীর মশা নিবারণে টেকসই সমাধানের একটি রূপরেখা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, মশার লার্ভা তিন থেকে চার সপ্তাহ পর অ্যাডাল্ট মশা হওয়ার পর মানুষকে কামড়াবে এবং রোগ ছড়াবে। এরই মধ্যে যেসব মশা রোগ ছড়াচ্ছে, তাদের মেরেই ডেঙ্গু কমাতে হবে। যে পদ্ধতিতে অ্যাডাল্ট মশা মারা যায়, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সে পদ্ধতিতে জোর দেওয়া হয়নি। লার্ভা মারার জন্য সিটি করপোরেশন পথে-ঘাটে প্রচার চালাচ্ছে। বাসাবাড়িতে লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা করছে। তারা লার্ভা মারার জন্যই প্রচার করে যাচ্ছে। কিন্তু মারতে হবে অ্যাডাল্ট মশা। সিজিএস চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কীটতত্ত্ববিদ খলিলুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ড. জি এম সাইফুর রহমান প্রমুখ।